Header Ads

খুলনা-৬ আসনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আ’লীগের দলীয় ঐক্যর বিকল্প নেই

বিশেষ প্রতিনিধি :
ভোটের বাকী আর ২৬দিন। প্রতিটা দলেই চলছে নির্বাচনে জয়লাভের কলাকৌশল ও সাধারণ ভোটারদের সাথে প্রকাশ্যে ও গোপনে গনসংযোগ করে চলেছেন প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের নেতৃবৃন্দ।  খুলনা জেলার সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা এবং উপকূলীয় উপজেলা কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন। দেশ স্বাধীনের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে চারবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হন। তবে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। বিএনপিজোট আটঘাট বেঁধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় নির্বাচন অনেক প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খুলনা-৬ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ তরুন নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু। প্রার্থী হিসেবে নতুন হলেও রাজনীতিতে পক্কতা আছে বলেই মনে করছেন তৃনমুল নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মনে করেন দলের স্বার্থে এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আসটি পুনরুদ্ধারে দলীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। মনে করা হচ্ছে  বিএনপি জোট থেকে এ আসনটি খুলনা মহানগর জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদ, যদিও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের এ প্রার্থী নির্বাচন করবেন। এ প্রতিবেদকের সাথে তৃনমূল আওয়ামীলীগের অনেক প্রবীন ও তরুন ভোটারদের সাথে আলাপচারিতায় একটা বিষয় স্পষ্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল। আর এই কোন্দল নিরসনে কাজ করছেন মনোনয়ন প্রাপ্ত আক্তারুজ্জামান বাবু। মনোনয়ন প্রাপ্তীর পর দু’উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়সহ নির্বাচনীয় দু’টি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলীয় কোন্দল ভুলে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশও দিয়েছেন।
    খুলনা-৬ আসনের কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬২টি ভোট কেন্দ্রে ৩৩০টি বুথ রয়েছে। এখানে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৪ জন। এর মধ্যে ৭৮ হাজার ৭৯১ জন পুরুষ এবং ৭৮ হাজার ১১৩ জন নারী ভোটার। আর পাইকগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার ৭৯টি ভোট কেন্দ্রে ৪৫২টি বুথ রয়েছে। এখানে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭৭ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭ হাজার ৫৮৯ জন নারী ভোটার।    বিগত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯৭৩ সালে এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা স ম বাবর আলী। ১৯৭৯ সালে বিএনপির শেখ রাজ্জাক আলী এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মোমিন উদ্দীন আহমেদ নির্বাচিত হন। এরশাদের স্বৈরশাসনের অবসানের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন জামায়াতের শাহ্ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ মো. নূরুল হক জয়লাভ করেন। ২০০১ সালে আবার জামায়াতের শাহ্ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস সংসদ সদস্য হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সোহরাব আলী সানা এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে একই দলের আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট শেখ মো. নূরুল হক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
    এ আসনটি জামায়াতের ঘাঁটিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। এই সংকটের সুফল ঘরে তুলতে চায় বিএনপিজোট। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, বর্তমান এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ নূরুল হক পাইকগাছা-কয়রার এ দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ করছেন। আসনটিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন প্রবীন এই রাজনৈতিক ব্যক্তি। তৃনমুল নেতাকর্মী সহ পাইকগাছা-কয়রার সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি উন্নয়নের কারিগর হিসেবে খ্যাতিলাভ করেছেন। অপরদিকে ২০০৮ সালে নির্বাচিত এ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানারও রয়েছে এ দুই উপজেলার আরেকটি অংশকে নিয়ন্ত্রন করেন। সকলের সমন্বয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করার অভিমত ব্যক্ত করেন তৃনমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। দলীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা। ফলে সকল নেতকর্মীদের এক মঞ্চে দেখতে চায় তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.