Header Ads

প্রশ্ন ফাঁসের শর্তে ডজন খানেক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে আযম খান কমার্স কলেজের অফিস সহকারী!

নগরীর আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে প্রশ্ন ফাঁসের শর্তে ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসানের বিরুদ্ধে। একের পর এক প্রায় ডজনখানেক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করেছেন তিনি। এসব আপত্তিকর অবস্থার ছবি তুলে রেখে পরবর্তীতে ওইসব ছাত্রীদের ব্লাকমেইল করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগীদের মাধ্যমে এ ধরনের কিছু আপত্তিকর ছবি এসে পৌঁছে সময়ের খবর’র কাছেও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের মার্কেটিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসান সুন্দরী ছাত্রীদের টার্গেট করে তাদের সাথে রসালো আলাপ করে পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্নপত্র দেবার প্রতিশ্র“তি দেন। বিনিময়ে অনৈতিক সম্পর্ক করতে শর্ত দেন মার্কেটিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসান। এভাবে গত কয়েক বছরে পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ডজনখানেক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কৌশলে বা ফুসলিয়ে আপত্তিকর ও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে ধারণ করে রাখতে আবুল হাসান। পরে তার কথামত না চললে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার কথা বলে ব্লাকমেইল করতো বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ক্লাস টেস্ট, অর্ধ-বার্ষিকী ও বার্ষিক পরীক্ষাসহ প্রায় সবধরনের প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পরীক্ষার কয়েকদিন পূর্বেই তার মাধ্যমে পৌঁছে যায় ঘনিষ্ঠদের কাছে। সে জন্য পরীক্ষার আগে-পরে বা ইচ্ছামতো সময়ে ওই ছাত্রীদের তার সাথে মিলিত হতে হতো। কখনো নগরীর ভূতের আড্ডা, অন্য কোনো পার্কে; আবার কখনো অনুরুপ সুবিধা দেয়া কোন ছাত্রের মেস বাসায় নিয়ে যেতো ওইসব ছাত্রীদের, পর্যায়ক্রমে। কৌশলে এসব মুহূর্তের ছবি তুলে রাখতেন মার্কেটিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসান। তার বাড়ি বটিয়াঘাটার পুঁটিমারি এলাকায়। গত কয়েক বছরে অন্তত ডজনখানেক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। কয়েকটি আপত্তিকর ছবি রয়েছে সময়ের খবর’র কাছেও।
কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুধু মার্কেটিং বিভাগের নয়; হিসাব বিজ্ঞান বিভাগেও তার পদচারণা ছিল। এ দু’টি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক তাকে ই-মেইলেও গোপনী প্রমাণাদি ও প্রশ্নপত্র পাঠাতেন; যা তার ওইসব ছাত্রীরা আগেই পেয়ে যেতো।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মার্কেটিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসান সময়ের খবরকে বলেন, “আমি ভুল করেছি; আমাকে মাফ করে দেন। অবৈধ সম্পর্কের জন্যে নয়; এমনি ভাল সম্পর্কের কারণেই আমি তাদের প্রশ্নপত্র দিতাম।”
মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, “আবুল হাসান মার্কেটিং বিভাগে মাস্টাররোলে বছর দুই চাকুরিরত। এ ধরনের অভিযোগ তো আগে শুনি নাই। আপনারা কিভাবে জানতে পারলেন?” সময়ের খবরের কাছে আপত্তিকর ছবি রয়েছে জানালে তিনি বলেন, “অভিযোগ সঠিক কি না খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এ ব্যাপারে আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ কালিপদ মজুমদার বলেন, “আগে কখনো এ ধরনের কোন অভিযোগ তো শুনিনি। আমি বিস্মিত হলাম। তবে যদি অভিযোগ সঠিক হয়; তাহলে তো তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেই হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.