Header Ads

পাইকগাছাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে শনি-রোববার বৃষ্টি ঝরবে

আবহাওয়া অধিদপ্তর।।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে সারা দেশে আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার পাইকগাছাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে প্রধানত গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে হলেও কখনো কখনো ভারি বৃষ্টিও হতে পারে। সোমবার দিনের আকাশ পরিষ্কার হয়ে উঠতে পারে বলে আজ সকালে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন।
আবহাওয়াবিদ আরো জানান, এখন যে শীত অনুভূত হচ্ছে সেটি মূলত বৃষ্টির কারণে। তবে নিম্নচাপ সরে গেলে মধ্য ডিসেম্বরের পর থেকে এমনিতেই শীতের প্রকোপ একটু বাড়বে।
এ দিকে মধ্য পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম এলাকায় গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঢাকা আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এটি পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে সরে গিয়ে আরো উত্তর উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ ভোর ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার তৈরি হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপের সৃষ্টির ফলে মোংলা বন্দরসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। মোংলায় গতকাল শুক্রবার দিনভর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এবং রাতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শনিবার ভোর থেকে আবারও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে মাঝারি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
মোংলা বন্দরের বন্দরের হারবার বিভাগের অপারেটর শাহজাহানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বন্দরে অবস্থানরত ১৬টি বিদেশি জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে গতকাল রাতে আটটি খাদ্যশস্যবাহী (চাল ও গম) জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
শাহজাহান আরো জানান, বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া ও হাড়বাড়িয়ায় বর্তমানে ২৪টি জাহাজ অবস্থান করছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে-মাঝিমাল্লারা সুন্দরবনের দুবলারচরসহ বিভিন্ন নদী ও খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.