Header Ads

বারো হাজার টাকায় মুম্বাই দর্শন (স্বপ্ন নয় সত্যি)!!!

আগের নোটগুলোতে আমরা আলোচনা করেছি দিল্লী, সিমলা, মানালি, কাশ্মীর, লাদাখ, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল (দিল্লী-আগ্রা-জয়পুর)ভ্রমণের খুঁটিনাটি বিষয়, বাজেট এবং পরিকল্পনা নিয়ে। আজ আসুন ভ্রমণে বের হই ভারতের প্রধান হলিডে ডেস্টিনেশন মুম্বাই-গোয়া ভ্রমণে। আগের নোটগুলোর মত এটাতেও বলতে চাই, প্রথমেই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং উহাতে ভারত ভ্রমণের মেয়াদসহ ভিসা থাকা জরুরী। এজন্য যা করনীয়ঃ 

পাসপোর্ট এবং ভিসাঃ

অনলাইনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন ফর্ম পাওয়া যায় এই ঠিকানায়ঃ পাসপোর্ট এপ্লিকেশন ফর্ম (পিডিএফ) Click This Link এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়ঃhttp://www.passport.gov.bd/ যেখানে Online MRP Instruction নামে একটি মেনুবার আছে, এখানে ক্লিক করলে ১৪ পাতার একটি নির্দেশিকা পিডিএফ ফাইল আকারে পাবেন। এখান হতে পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। 
 
এবার পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর, দরকার হবে ভারতীয় ভিসা। ভারতীয় ভিসা’র জন্য বর্তমানে “ষ্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া” পরিচালিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন জমা দিতে হয়। এখানে যত যন্ত্রণা, বর্তমানে কোন এজেন্ট ছাড়া অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেয়ার ডেট পাওয়া দুষ্কর। ১৫০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ নিয়ে আপনার আবেদনপত্র জমার ডেট পাইয়ে দিতে পারে এই সকল এজেন্টরা। আপনি যেহেতু অনলাইনে জমা দিতে পারছেন না, প্রয়োজনে ওদের এম্বাসির ভিসা প্রসেসিং সেকশনে মেইল করতে পারেন। আমার পরিচিত একজন এই প্রক্রিয়ায় আবেদনপত্র জমা দেয়ার ডেট পেয়েছে। যেহেতু এখানে টুরিস্ট ভিসার কথা আলোচনা করছি, তাই একটা কথা বলা প্রয়োজন। টুরিস্ট ভিসার জন্য সলভেন্সি প্রুভ হিসেবে আপনার কমপক্ষে ১৫০ ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাসপোর্টে এন্ডোর্স করতে হবে অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। তবে সবচেয়ে বেটার ডলার এন্ডোর্স করা। আমার এক বন্ধুর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ট্রানজেকশন প্যাটার্ন এর কারণে ভিসা এপ্লিকেশন রিফিউজ হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড দিয়েও ডলার এন্ডোর্স করাতে পারেন।http://www.ivacbd.com/visas_and_document.php এই ঠিকানায় দেয়া নির্দেশিকা হতে সহজেই জেনে নিতে পারবেন আপনার ভিসা আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে। সাধারণত টুরিস্ট ভিসা’র জন্য যা যা লাগেঃ
* ২”X২” সাইজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি (দুই কপি)। (অনলাইন আবেদনপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে এই ছবিই স্ক্যান করে দেবেন) * জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি * কর্মজীবীদের জন্য অফিস হতে অনাপত্তিপত্র (NOC), ব্যবসায়ীদের জন্য আপডেট ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি। অফিস পরিচয়পত্র (এমপ্লয়মেন্ট আইডি কার্ড) * ভিজিটিং কার্ড * কমিশনার সার্টিফিকেট * বর্তমান ঠিকানার সাম্প্রতিক কোন ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি।
এখানে মনে রাখবেন, ইউটিলিটি বিলে ঠিকানা যেভাবে লেখা থাকবে, ঠিক সেইভাবে ভিসা এপ্লিকেশন ফর্মে দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি পাসপোর্ট করার সময় যে বাসায় ছিলেন, এখনো সেখানেই আছেন। ঠিকানা ১০০৪, বিষ্ণু চরন দাস স্ট্রীট, লালবাগ, ঢাকা। কিন্তু আপনার ইউটিলিটি বিলে লেখা আছে, ১০০৪, বি সি দাস স্ট্রীট, লালবাগ, ঢাকা। এক্ষেত্রে আপনি ইউটিলিটি বিলেরটাই আবেদনপত্রে দিবেন। উল্লেখ্য যে, ভিসা আবেদনে চারটি বিষয় বিবেচনা করা হয়ঃ (১) আপনি কোন দেশের নাগরিক (এর জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি), (২) আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা (ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি এবং কমিশনার সার্টিফিকেট এর জন্য প্রয়োজন), (৩) আপনার পেশার সত্যতা (এজন্য এনওসি, আইডি কার্ড, এবং ভিজিটিং কার্ড; ব্যবসায়ীদের জন্য আপডেট ট্রেড লাইসেন্স এবং ভিজিটিং কার্ড) এবং (৪) সলভেন্সি (এজন্য নুন্যতম ১৫০ ইউএস ডলার এন্ডোর্সমেণ্ট)।
তো আর কি? এবার পাসপোর্ট এবং ভিসা পর্ব শেষ, আসুন শুরু করি আমাদের মুম্বাই যাত্রা। 
 

ঢাকা টু কলকাতাঃ

বাংলাদেশ থেকে অতি অল্প খরচে দিল্লী যাওয়ার রুট হলঃ ঢাকা থেকে যশোহর হয়ে বেনাপল; ভাড়া ছয়শত টাকা’র মধ্যে হয়ে যাবে। এরপর ইমিগ্রেশন শেষে বর্ডার পার হয়ে পেট্রাপল হতে বনগাঁ হয়ে হাওড়া। খরচ একশত টাকার মত, আর বাসে করে কলকাতা গেলে খরচ ২০০-৩০০ টাকা। তো সবমিলিয়ে সাতশত থেকে হাজার টাকায় কলকাতা। যাওয়া আসা দুই হাজার। এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতার বাস আছে ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে। আর বাই এয়ার গেলে রিটার্ন টিকেট ৮০০০-১২,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে ঢাকা টু কলকাতা রুটের জন্য।

কলকাতা টু মুম্বাইঃ

এবার আমরা যাব কলকাতা থেকে মুম্বাই। হাওড়া ষ্টেশন থেকে প্রায় প্রতিদিন একাধিক ট্রেন ছেড়ে যায় মুম্বাই এর উদ্দেশ্যে। নীচের চার্ট হতে আপনার পছন্দের (সময় এবং বাজেট অনুযায়ী) ট্রেন বেছে নিন। চাইলে কলকাতা থেকে বিমানেও মুম্বাই যেতে পারেন, ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক এয়ার লাইন্সে মোটামুটি কম খরচে (একটু আগে থেকে টিকেট করে রাখলে অনেক কমে পাওয়া যায়) কলকাতা থেকে মুম্বাই, ৪,৫০০-৫,০০০ টাকায় যাওয়া যায়। কেউ চাইলে ঢাকা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার কলকাতা ট্রানজিট বিমানেও মুম্বাই যেতে পারেন। এক্ষেত্রে রিটার্ন টিকেট এর ভাড়া পড়বে ২৫০ ডলার এর মত, বাংলাদেশী টাকায় ২০,০০০-২২,০০০ টাকা। তো আপনার পছন্দের সময় এবং বাজেট অনুযায়ী বেছে নিন কলকাতা টু মুম্বাই যাওয়ার বাহনটি।
 
থাকাঃ
এবার মুম্বাই পৌঁছে থাকার জায়গা। মহারাষ্ট্র পুলিশের নিরাপত্তা আইনের কারনে স্বল্প বাজেটের বেশীরভাগ হোটেল বাংলাদেশী এমনকি অনেক হোটেলের যে কোন ফরেইন টুরিস্ট রাখার পারমিশন নাই। আর যে সকল হোটেলের পারমিশন আছে, তাদেরও নানান ফরমালিটিস এবং ডকুমেন্টেশন রেডি করে থানায় জমা দিতে হয়। তাই, স্বল্প বাজেটের হোটেলগুলো বাংলাদেশী গেস্ট সহজে রাখতে চায় না। তাই পারলে ঢাকা থেকে যাওয়ার আগে অনলাইনে খোঁজ নিয়ে আপনার বাজেটের মধ্যে একটা হোটেল বুকিং দিয়ে গেলে ভাল। সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের গ্রান্ট রোডের হোটেল শালিমার, নিউ শালিমার, হোটেল ন্যাশনাল এগুলোতে বাঙ্গালী গেস্ট রাখা হয়, ভাড়া ১,০০০ রুপী থেকে শুরু। তবে ভাড়া নিয়ে দরদাম করতে গেলে ওরা নারাজ হয়ে আপনাকে গেস্ট হিসেবে রাখতে অপরাগ হতে পারে (নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি), তাই ওয়েব সাইট থেকে ভাড়া দেখে নিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়ে গেলেই ভাল।

খাবারঃ

গ্রান্ট রোডে যদি থাকেন, তবে দিল্লী দরবার, মুম্বাই দরবার, জাকিয়া দরবার সহ আরও অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন। দিল্লী দরবার এর সাথেই একটা রেস্টুরেন্ট আছে, যেখানে আপনি ৬০-৮০ রুপীতে প্রতিবেলা খাওয়া হয়ে যাবে, সর্বোচ্চ ১০০ রুপী।

ঘোরাঘুরিঃ

মুম্বাই ঘোরাঘুরির জন্য প্রতিদিন সকালবেলা হোটেল হতেই পেয়ে যাবেন মুম্বাই দর্শন এর প্রাইভেট/পাবলিক বাস সার্ভিস। ভাড়া ২৫০-৪৫০ রুপীর মধ্যে। সকাল দশটার মধ্যে শুরু হয়ে রাত আটটায় আপনাকে ড্রপ করবে হোটেলের কাছে। এই সারাদিনের প্যাকেজে আপনি দেখতে পারবেনঃ Gateway of India (Taj Mahal Hotel), Prince of Wales Museum, Jehangir Art Gallery, World Trade Center, Mantralaya, Assembly Hall, Nariman Point, Oberoi Hotel, Air India Building, Wankhede Stadium, Marine Drive (Queen's Necklace ), Girgaon Chowpatty (speed boat H2O), Jain Temple, Kamla Nehru Park, Boot House, Hanging garden, Hajrat Ali, Juhu Beach প্রভৃতি। যে প্যাকেজেই যান না কেন আগে দেখে নেবেন কি কি স্পট কাভার করবে। এছাড়া গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া হতে নৌপ্যাকেজে সারাদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড। এখান হতে প্রতিদিন সকাল নয়টা হতে দুপুর দুইটা পর্যন্ত প্রতি আধঘন্টা পরপর ছোট ফেরী টাইপ বোট ছেড়ে যায় এলিফ্যান্ট আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে, ভাড়া ১২০ রুপী। নয়টার প্রথম বোটে রওনা হলে আইল্যান্ডে পৌঁছবেন দশটা নাগাদ। সেখান থেকে এলিফ্যান্ট কেইভ যেতে আরও আধ ঘন্টা। এক ঘন্টা সেখানে কাটিয়ে বারোটার দিকে চলে আসুন ফিরতি বোট ধরার জন্য। ফেরার বোটগুলো বেলা বারোটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলাচল করে। সোমবার বন্ধ থাকে। তাই যদি মুম্বাই রবিবার এসে পৌঁছান, তবে এদিন এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড ট্যুর করে পরদিন মুম্বাই দর্শন করুন, কারন অনেক স্থান রবিবারে বন্ধ থাকে। চাইলে আরেকদিন থেকে ঘুরে আসতে পারেন মুম্বাইয়ের বিখ্যাত এসসেল ওয়ার্ল্ড, গ্রান্ট রোড হতে বাস, ট্রেন বা ট্যাক্সি নিয়ে চলে যেতে পারেন। এসসেল ওয়ার্ল্ড এবং ওয়াটার ওয়ার্ল্ড এর কম্বাইন্ড টিকেট ১৩০০ রুপী, সব মিলিয়ে দুই হাজার রুপী বাজেট রাখতে পারেন। এই ট্যুরের জন্য।
এরপর চাইলে বাস বা ট্রেন করে চলে যেতে পারেন মুম্বাইয়ের টুরিস্ট সিটি গোয়া, অথবা ধরতে পারেন ফিরতি যাত্রার বাহনটি। ফিরতি জার্নি’র ট্রেন লিস্ট নিচে দেয়া হল। 
 

একটি খসড়া পরিকল্পনা, কম বাজেটে মুম্বাই ভ্রমনঃ (এসসেল ওয়ার্ল্ড বাদ দিয়ে)

দিন ০০ঃ ঢাকা থেকে রওনা হয়ে যান কলকাতার উদ্দেশ্যে।
দিন ০১ঃ কলকাতা থেকে রাতের যে কোন ট্রেনে রওনা হয়ে যান মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে। সবচেয়ে ভাল হয় CST Mail ধরতে পারলে।
দিন ০২ঃ সারাদিন ট্রেন জার্নি। সাথে গল্প বই কিনে নিতে পারেন কলকাতার কলেজ স্ট্রিট বা যে কোন দোকান হতে, ট্রেনে পড়ার জন্য। আর গ্রুপ হলে তো কথাই নেই।
দিন ০৩ঃ ভোরবেলা বা সকাল এগারোটার মধ্যে মুম্বাই পৌঁছে ট্রাম বা বাসে করে চলে আসুন গ্রান্ট রোড। উপরে উল্লেখিত যে কোন হোটেলে অনলাইনে বুকিং করে যান। অন্যথায় একটু খোঁজ করে উঠে পড়ুন বাজেটের হোটেলে। মনে রাখবেন মুম্বাইতে হোটেলের জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে দালাল ঘোরাফেরা করে সেই ভোরবেলা থেকেই, এরা আপনার গতিবিধি দেখেই বুঝে ফেলবে আপনি টুরিস্ট, হোটেল খোঁজ করছেন।তারপর আঠার মত লেগে থাকবে আপনার পিছু পিছু। হোটেলে চেকইন করে এদিন একটু রেস্ট নিন। দুপুরের খাবারে পর মুম্বাইয়ের পথে ঘুরে বেড়ান। গ্রান্ট রোড হতে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত চউপত্তি আর মেরিন ড্রাইভ বেশী দূরে নয়। সন্ধ্যে পর্যন্ত সেখানে কাটিয়ে হোটেলে ফিরে আসুন।
দিন ০৪ঃ আগেরদিনই হোটেলের রিসিপশন হতে মুম্বাই দর্শন এর বাস টিকেট করে রাখুন। সকালের নাস্তা উল্লেখিত হোটেলে সেরে আসুন (এদের নেহারি, কলিজা এইসব আইটেম টেস্ট করে দেখতে পারেন)। এরপর সারাদিন মুম্বাই দর্শন করুন, তবে গেট অফ ইন্ডিয়াতে বোটে করে ভ্রমণ করবেন না এদিন, কেননা পরেরদিন এখান হতে এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড যাবেন। তাই এই সময়টুকু এখানে ঘুরে বেড়ান, বাসের বাকি টুরিস্টরা ঘুরে আসা পর্যন্ত। সূর্যাস্ত উপভোগ করুন বিখ্যাত জুহু বীচে। রাত আটটা নাগাদ পৌঁছে যাবেন হোটেলে। একেবারে রাতের খাবার খেয়েই হোটেলে প্রবেশ করুন। এরপর একটা ঘুম দিন।
দিন ০৫ঃ সকালবেলা একটু আগে উঠে পড়ুন। হোটেল থেকে সাতটা নাগাদ বের হয়ে পড়ুন। নাস্তা শেষে বাস যোগে গেট অফ ইন্ডিয়া চলে আসুন। এখান হতে এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড যাওয়ার টিকেট করে ফেলুন। সারাদিন এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড ঘুরে বিকেলে মেরিন ড্রাইভে চলে আসুন। এখানে সূর্যাস্ত উপভোগ করুন। এরপর হোটেলে ফিরে ব্যাগপত্তর নিয়ে রাতের ট্রেন ধরুন কলকাতার উদ্দেশ্যে। ট্রেন অবশ্যই Howrah Mumbai Mail।
দিন ০৬ঃ সারাদিন ট্রেনে জার্নি।
দিন ০৭ঃ কলকাতা এসে পৌছবেন ভোরবেলা, চাইলে দুপুর পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করতে পারেন। নইলে সকাল সাতটা বা আটটার বাসে বেনাপল চলে আসুন; অথবা ট্রেনে করে বনগাঁ হয়ে বেনাপল। চাইলে দুপুর পর্যন্ত কলকাতায় কাটিয়ে দুপুরের বাসে বেনাপল রওনা হয়ে যান। বিকেলের মধ্যে বর্ডার ক্রস করে রাতের গাড়িতে বেনাপল হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।

খরচের হিসেবঃ

ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা (১,০০০X২)= ২,০০০ টাকা।
কলকাতা-মুম্বাই-কলকাতা (৮০০ রুপী হিসেবে ১,০০০X২)= ২,০০০ টাকা।
হোটেল ভাড়া দুই রাত (৮০০ রুপী হিসেবে ১,০০০X২)= ২,০০০ টাকা।
খাবার ০৭ দিন, প্রতিদিন (২৫০ রুপী হিসেবে ৩০০X৭)= ২,১০০ টাকা।
মুম্বাই দর্শন এবং এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড ভ্রমণ ১,৫০০ টাকা।
অন্যান্য (ইমারজেন্সি মানি সহ) ১,৪০০ টাকা।
বর্ডার স্পিডমানি এবং ট্রাভেল ট্যাক্স ১,০০০ টাকা।
সর্বমোটঃ ১২,০০০ টাকা।
 
 
 
 

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.