Header Ads

পাইকগাছায় প্রকাশনা কর্তৃপক্ষের সাথে শিক্ষকনেতাদের সখ্যতা গড়ে তোলার অভিযোগ; গাইড বই ব্যবহারে নিচ্ছেন সুবিধা

পাইকগাছা প্রতিনিধি :
পাইকগাছায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে কথিত প্রকাশনার গাইড বই ব্যবহারে সহকারী শিক্ষক নেতারা প্রকাশনা কর্তৃপক্ষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নেতাদের সহযোগিতায় বিভিন্ন শিক্ষকদের মাঝে নগদ অর্থ সহ বাড়তি সুবিধা দিয়েছেন বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।
    জানাগেছে, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ শুক্রবার সকালে পৌর সদরের শহীদ এমএ গফুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক সভা আহŸান করেন। উক্ত সভায় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় শতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। উলে­খিত সভা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। অভিযোগ উঠেছে, সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিএম আক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এস কে আছাদুল­াহ মিঠু কথিত প্রকাশনা কর্তৃপক্ষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। তাদের ফুলকুড়ি প্রকাশনার গাইড বই বিভিন্ন স্কুলে ব্যবহার করতে শিক্ষকদের সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করছেন। এদিন সভায় উপস্থিত শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রকাশনার পক্ষ থেকে দেওয়া হয় উন্নত মানের খাবারের প্যাকেট ও মাথাপিছু ৫শত টাকা করে। তবে উপস্থিত অনেক শিক্ষক এ ধরণের উপঢৌকন ফিরিয়ে দেয় বলে জানাগেছে। মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ কুমার মন্ডল জানান, ঘটনার দিন আমি স্কাউটের চিঠি বিতরণের জন্য শহীদ গফুরে যায়। চিঠি বিতরণ শেষে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ফুলকুড়ি প্রকাশনার পক্ষ থেকে আমাকে এক প্যাকেট খাবার ও ৫শ টাকার একটি খাম দেওয়া হয়। আমি উক্ত টাকা ও খাবার শিক্ষক সুজিত বাবুর মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে দেই। কারণ স্কুলে গাইড বই ব্যবহারে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাছাড়া সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সাথে শিক্ষার্থীদের যোগ্য হিসাবে গড়ে তুলতে আমরা তাদেরকে পাঠ্যবই পড়তে নানা ভাবে আকৃষ্ট করছি। এ অবস্থায় গাইড বই ব্যবহার বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত। এমন অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রসঙ্গে সহকারী শিক্ষক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসকে আছাদুল­াহ মিঠু জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ও ৬টি এজেন্ডার উপর শুক্রবার শহীদ গফুর মিলনায়তনে সহকারী শিক্ষক সমিতির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ফুলকুড়ি প্রকাশনার ২-৩ জন ব্যক্তি তারা কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের প্রকাশনার বই ব্যবহার প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করলেই তাদের কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। উপস্থিত শিক্ষকদের মাঝে যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা সভাপতি ও আমার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া উপস্থিত শিক্ষকদের কোন টাকা দেওয়া হয়েছে কি না সে বিষয়টি আমার জানা নাই বলে শিক্ষকনেতা মিঠু জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.