পাইকগাছায় নবজাতককে বিক্রি করে ক্লিনিকের টাকা পরিশোধ করলেন এক দম্পত্তি
বিশেষ প্রতিনিধি।। ॥
পাইকগাছায় অভাব অনটনের কারণে নিজ নবজাতক কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে ক্লিনিকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছেন এক দম্পত্তি। একাধিক কন্যা সন্তান থাকায় নবজাতকের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং ক্লিনিকের টাকা পরিশোধের কথা ভেবে জন্মের পরের দিন নবজাতককে পৌর এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পত্তির নিকট ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
জানা গেছে, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের দিলিপ-সুভাসী দম্পত্তির দুটি কন্যা সন্তানের পর সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী সুভাসীকে গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ফারিন হস্পিটালে ভর্তি করে। এদিন রাতেই নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে সুভাসীর আবারো একটি কন্যা সন্তান হয়। অভাব অনটনের সংসারে পরপর ৩টি কন্যা সন্তান হওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েন দিলিপ দম্পত্তি। একদিকে অভাবের সংসারে একাধিক কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা, অপরদিকে ক্লিনিকের পাওনা ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে নবজাতক কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন দিলিপ দম্পত্তি। জন্মের পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাতিখালী গ্রামের নিঃসন্তান লক্ষ্মণ-কবিতা দম্পত্তির নিকট ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে ক্লিনিকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর কবিতা দাশ জানান, আমি গতকাল নির্মম এ ঘটনাটি শুনেছি। ফারিন হস্পিটালের মিন্টু জানান, জন্মের পরের দিন ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করে সন্তান নিয়ে তারা চলে যায়। বিক্রি করেছে কিনা এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নবজাতক কেনার কথা স্বীকার করে লক্ষ্মণ সরদার জানান, আমরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নবজাতককে নেয়নি। দিলিপ দম্পত্তি আমাদের কাছে এসে ক্লিনিকের পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের নবজাতক সন্তানকে আমাদের কাছে দিতে রাজী হয়। আমাদেরও কোন সন্তান না থাকায় তাদের নবজাতককে আমার গ্রহণ করি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পাইকগাছায় অভাব অনটনের কারণে নিজ নবজাতক কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে ক্লিনিকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছেন এক দম্পত্তি। একাধিক কন্যা সন্তান থাকায় নবজাতকের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং ক্লিনিকের টাকা পরিশোধের কথা ভেবে জন্মের পরের দিন নবজাতককে পৌর এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পত্তির নিকট ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
জানা গেছে, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের দিলিপ-সুভাসী দম্পত্তির দুটি কন্যা সন্তানের পর সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী সুভাসীকে গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ফারিন হস্পিটালে ভর্তি করে। এদিন রাতেই নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে সুভাসীর আবারো একটি কন্যা সন্তান হয়। অভাব অনটনের সংসারে পরপর ৩টি কন্যা সন্তান হওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েন দিলিপ দম্পত্তি। একদিকে অভাবের সংসারে একাধিক কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা, অপরদিকে ক্লিনিকের পাওনা ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে নবজাতক কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন দিলিপ দম্পত্তি। জন্মের পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাতিখালী গ্রামের নিঃসন্তান লক্ষ্মণ-কবিতা দম্পত্তির নিকট ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে ক্লিনিকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর কবিতা দাশ জানান, আমি গতকাল নির্মম এ ঘটনাটি শুনেছি। ফারিন হস্পিটালের মিন্টু জানান, জন্মের পরের দিন ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করে সন্তান নিয়ে তারা চলে যায়। বিক্রি করেছে কিনা এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নবজাতক কেনার কথা স্বীকার করে লক্ষ্মণ সরদার জানান, আমরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নবজাতককে নেয়নি। দিলিপ দম্পত্তি আমাদের কাছে এসে ক্লিনিকের পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের নবজাতক সন্তানকে আমাদের কাছে দিতে রাজী হয়। আমাদেরও কোন সন্তান না থাকায় তাদের নবজাতককে আমার গ্রহণ করি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই