Header Ads

পাইকগাছায় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবৈধ মৎস্য মার্কেটের কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রীয়া; ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী মহল

পাইকগাছা প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছায় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নবনির্মিত অবৈধ মৎস্য মার্কেটের কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। প্রশাসন বলছে বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। অপরদিকে বন্ধের কোন নির্দেশনা নেই এবং বৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দাবী করেছে নতুন মার্কেটের ব্যবসায়ী। এদিকে প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কার্যক্রম চলমান রাখায় আড়ৎদারী ব্যবসায়ী মহলসহ জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নতুন মার্কেটের ব্যবসায়ী বজলুর রহমানের শক্তির উৎস আসলে কোথায়? তিনি প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করার দুঃসাহস কোথা থেকে পাচ্ছেন। কারাই বা রয়েছে তার শক্তির পিছনে। এ ধরণের কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ আর উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী মহল। 
উল্লেখ্য, পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ড শিবসা ব্রীজ সংলগ্ন বাতিখালী এলাকায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা নিজস্ব সম্পত্তির উপর আড়ৎদারী মার্কেট নির্মাণ করে ট্রেড লাইসেন্স ও সকল নীতিমালা অনুসরণ করে মাছের গুণগতমান বজায় রেখে ব্যবসায়ী ও ঘের মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন আড়ৎদারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। অত্র মার্কেটে শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন, পাশাপাশি ক্রয়-বিক্রয় সহ সরবরাহ কাজে শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। মার্কেটের মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহ বিদেশেও সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এদিকে আড়ৎদারী মার্কেটের ব্যবসায়ী বজলুর রহমান পুরাতন মার্কেটকে উপেক্ষা করে শিববাটী সড়কের পাশে কৃষি জমির উপর নতুন একটি আড়ৎদারী মার্কেট নির্মাণ করে। পুরাতন আড়তের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বজলুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে শত শত ব্যবসায়ীকে উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নতুন আড়ৎদারী মার্কেট নির্মাণ করেছে। নতুন এ মার্কেটের প্রয়োজনীয় পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স, ভোক্তা অধিকার, মৎস্য দপ্তরের সহ প্রয়োজনীয় বৈধ কোন কাগজপত্র ও অনুমোদন নাই। এ ব্যাপারে পুরাতন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলে উপজেলা প্রশাসন থেকে বৈধ অনুমোদন না নেওয়া পর্যন্ত নতুন মার্কেটের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী বেশ কিছুদিন কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও মঙ্গলবার থেকে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নতুন মার্কেটের ব্যবসায়ী বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালেও মার্কেটের কার্যক্রম চলমান ছিল বলে স্বীকার করেন বজলুর রহমান। তবে তিনি প্রশাসনের বন্ধের কোন নির্দেশনা নেই এবং তিনি বৈধ ভাবেই আড়ৎদারী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে দাবী করেন। সরেজমিন গেলে ঘের ব্যবসায়ী মাহফুজুল হক কিনুকে আড়তে মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়নার কাছ জানতে চাইলে তিনি পূর্বের ন্যায় বলেন, প্রশাসন কোন ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে-বিপক্ষে নয়। মূলত নবনির্মিত মার্কেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। নতুন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় একটি আড়ৎদারী মার্কেট পরিচালনার জন্যে নূন্যতম কোন বৈধতা না থাকায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং একই সাথে বলা হয়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করার জন্য। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আগে মার্কেটের কার্যক্রম চলমান রাখার কোন সুযোগ নাই। যখনই তারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে তখন থেকেই ব্যবসায়ীক কার্যক্রমে আর কোন বাঁধা থাকবে না। 

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.