Header Ads

এসিল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালনে ১ বছর পূর্ণ করলেন আরাফাতুল আলম

 


হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়াই দ্রæত ভূমি সেবা পাচ্ছে পাইকগাছার মানুষ 

এন ইসলাম সাগর, (খুলনা) ঃ

পাইকগাছা উপজেলা ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের আজ এক বছর পূর্ণ করলেন মুহাম্মদ আরফাতুল আলম। যোগদানের পর তিনি ভূমি সেবা সহজতর করতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ভূমি সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন লিফলেট প্রকাশ করে তা জনগনের মাঝে প্রচার করেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেবা গ্রহণ সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা সৃষ্টি হয়। যার কারনে গত এক বছরে বদলে গিয়েছে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সেবা। হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়াই দ্রæত সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। দালালদের কোন দৌরাত্ব নেই। করোনা কালীন সময়ে হট লাইনে সেবা পাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড করেছেন ভূমি প্রশাসনের দক্ষ এ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য এক সময় ভূমি অফিসকে দূর্নীতির আখড়া বলা হতো। সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ধরতে হতো দালালদের। হয়রানি ও ভোগান্তির কোন অন্ত ছিলনা সাধারণ মানুষের। প্রতিটি সেবার জন্য দিতে হতো মোটা অঙ্কের টাকা। দালাল ও মধ্যসত্বভোগিদের কাছে জিম্মি ছিল ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারি সহ সাধারণ মানুষ। ভূমি অফিসের সেই চিত্র এখন আর নাই। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সহকারী অফিসার ভূমি হিসেবে উপজেলা ভূমি অফিসে যোগদান করেন মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম। যোগদান করেই তিনি ভূমি সেবাই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এক বছরে তিনি ভূমি অফিসকে জনবান্ধব ভূমি অফিসে পরিণত করেছেন। জনগনের দোর গোড়ায় ভূমি সেবা পৌছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মাসিক বিশেষ ভূমি সেবা ক্যাম্প করেছেন। জনসচেতা সৃষ্টির লক্ষে প্রকাশ করেছেন “ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি সেবা বিষয়ক অবহিতকরণ “ভূমির জন্য ১৫ মিনিট” ও ই-নামজারি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের লিফলেট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ভূমি সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করেন। যা উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। শতভাগ ই-নামজারি কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ  দ্রæত সেবা পাচ্ছে। শুনানী ও গন শুনানী সহ ইত্যাদি কার্যক্রমে ভূমি কর্মকর্তা ও সেবা গ্রহীতাদের মাঝে শূন্যের কোটায় এসেছে দুরত্ব। খুব সহজেই মানুষ যেকোন ধরণের প্রতিকার পাচ্ছে। সেবা গ্রহিতা মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান এ বছর আমি ৪টি মিউটেশন করেছি, এর জন্য ভূমি অফিসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আমার কাছে কোন দাবী করেনি। কোন প্রকার হয়রাণী ছাড়াই দ্রæত সেবা পেয়েছি। বান্দিকাটি গ্রামের আব্দুস সাত্তার সরদার জানান-বর্তমান এসিল্যান্ড একজন ভাল মানুষ। তার নেতৃত্বে উপজেলা এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এখন কোন দালালের দৌরাত্ম নেই। শিবসা সাহিত্য অঙ্গনের সভাপতি সুরাইয়া বানু ডলি বলেন- আরাফাতুল আলম একজন ভদ্র ও সদালাপী মানুষ। প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার মত ভদ্র, দক্ষ ও মানবিক কর্মকর্তার প্রয়োজন। ভূমি সেবার পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে তৎপর ছিলেন এসিল্যান্ড আরাফাত। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে একদিকে যেমন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন, অপরদিকে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভূমি সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশনায় এবং ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সহযোগিতায় উপজেলা ভূমি অফিসসহ ইউনিয়নের সকল ভূমি অফিসে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছেন। করোনার সময়ে কোন মানুষ যাতে ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় এজন্য তিনি ৪টি হট লাইনের মাধ্যমে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা সাধারণ মানুষকে ভূমি সেবা সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ প্রদান করেছেন। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও সফল হয়েছেন আরাফাতুল আলম। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে তিনি  ১কোটি ৭৭ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড গড়েছেন। আরাফাতুল আলম প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি তিনি অনেক সৃজনশীল কাজও করে থাকেন। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা বঙ্গবন্ধু ও বই পড়া সংক্রান্ত অনেক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বইপড়ি মনগড়ি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি পেইজ রয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি তরুন প্রজন্মকে বই পড়তে উৎসাহিত করতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভূমি প্রশাসনের এ কর্মকর্তার আজ ২ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণের ১ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে সহকারি কমিশনার(ভূমি) মুহাম্মাদ আরাফাতুল আলমকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। 


কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.