Header Ads

পাইকগাছায় যাতায়াতের পথে বাঁধা সৃষ্টি করায় চরম ভোগান্তিতে কয়েকটি পরিবার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :ইকগাছায় যাতায়াতের পথে বাঁধা সৃষ্টি করায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে কয়েকটি পরিবার। যাতায়াতের এ পথ নিয়ে মামলার রায় এবং আপোষ মিমাংশার অঙ্গিকারনামা থাকলেও কোন কিছুই তোয়াক্কা না করে প্রতিবেশী শঙ্কর কুমার ঘোষ যাতায়াতের পথে বাঁধা সৃষ্টি করে চলেছে। সর্বশেষ এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। 
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের বাঁকা ঘোষপাড়া এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে অরবিন্দু ঘোষ, মহাদেব, পবিত্র, বিজয়, অবনী ও আশুতোষ ঘোষ সহ কয়েকটি পরিবার। পরিবার গুলো পূর্বপুরুষ থেকে পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর বসবাস করে আসছে। পরিবারগুলো যাতায়াতের জন্য ১শ ফুট কাঁচা রাস্তা রয়েছে। পিচে রাস্তা থেকে পিন্টু ঘোষের বাড়ী পর্যন্ত ৫০ ফুট সরকারি রাস্তা এবং পিন্টু ঘোষের বাড়ী হতে বসবাড়ী পর্যন্ত ৫০ ফুট পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর রাস্তা রয়েছে। প্রায় ৮ থেকে ১০টি পরিবার উক্ত রাস্তাটি তাদের পারিবারিক রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। পথিমধ্যে মৃত গনেশ চন্দ্র ঘোষের ছেলে শঙ্কর কুমার ঘোষ অরবিন্দু ঘোষ গংদের শরিকের নিকট থেকে রাস্তার পাশের জমি ক্রয় করে। পরবর্তীতে শঙ্কর ঘোষ বিভিন্ন সময়ে ঘোষ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তার বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে যাতায়াতে বাঁধ প্রদান সহ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী এবং রাস্তা সংস্কারের কোন কাজ করতে গেলে নানাভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযোগ করেছেন। শিবপদ ঘোষ জানান, আমরা ২/৩ পুরুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছি। বাসুদেব ঘোষ জানান, আমাদের বাপ দাদারা এই পথ দিয়ে চলেছে, এখন আমরা চলছি। পূর্ণিমা রানী ঘোষ জানান, আমরা যে পথ দিয়ে যাতায়াত করছি এটি পূর্বের এবং বর্তমান জরিপে রেকর্ডেও উল্লেখ করা রয়েছে। এমআর ৩৩/১৮ নং মামলায় সরকারি সার্ভেয়ার নালিশী বাঁকা মৌজার এসএ ৭৯ যার আরএস ২৩৭ নং খতিয়ানের এসএ ৭৯ যার আরএস ২২১৭ নং দাগের ০.৩৬ একর জমির মধ্য হতে চলমান ঘরোয়া পথের জন্য ০.০১৪৮ একর জমি মেপে নির্ধারণ পূর্বক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এছাড়া থানার একটি আপোষনামা রয়েছে যেখানে যাতায়াতের পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে না মর্মে শংকর ঘোষের লিখিত অঙ্গিকার রয়েছে। এতো কিছুর পরও শংকর ঘোষ আইন বিচার মানে না, পুলিশ প্রশাসন সহ কাউকে সে মানতে চাই না। বিভিন্ন সময়ে যাতায়াতের পথে বাঁধা সৃষ্টি করছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের পথে কাদা হওয়ায় আমরা কিছু ইটের টুকরো রাস্তায় দিয়ে ছিলাম। সেগুলো শংকর ঘোষ জোরপূর্বক ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সর্বশেষ এ ঘটনায় পূর্ণিমা ঘোষ বাদী হয়ে শংকর ঘোষকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কানুনগো’র ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ঘোষ পরিবারগুলো।


কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.