Header Ads

পাইকগাছায় ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বে চিংড়ি ভর্তি পিকআপ আটক! অপদ্রব্য পুশের নমুনা মেলেনি


করোনা বিপর্যয়ে চিংড়ি মৌসুমে পাইকগাছায় মৎস্য কাটা ব্যবসায়ী ও ডিপো মালিকদের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বে বাগদা চিংড়ি ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন বলির পাঠা। বুধবার সকালে খুলনার চিংড়ি ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস ও হুসাইন রিপন মাছ কাটা থেকে কয়েকশো কেজি বাগদা চিংড়ি ক্রয় করে খুলনার উদ্দেশ্যে  পিকআপে উঠান। এ সময় অজ্ঞাত স্থান থেকে উপজেলা মৎস্য অফিস ও সাংবাদিকদের কাছে মোবাইলে জানানো হয় মাছ কাটা থেকে জেলি বা পুশকৃত চিংড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে। মুহুর্তেই উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এসএম শহিদুল্লাহ ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে চিংড়ি ভর্তি পিকআপটি মৎস্য অফিসে নিয়ে আসেন। এ সময় অপদ্রব্য পুশের অভিযোগ অস্বীকার করে কাটা ব্যবসায়ী চালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। এক পর্যায়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের কোন নমূনা না পেয়ে পিকআপ মালিকের গন্তব্যে রওনা দিতে বলেন। ঘটনার সময় ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ডিপো ব্যবসায়ীদের মোবাইলে তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালান। এ বিষয়ে মৎস্য কাটা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, ইতোমধ্যে আমরা প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ি ক্রয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি অভিযোগ করেন ডিপো মালিকদের মধ্যে কেউ-কেউ চিংড়ি ক্রয় করতে না পেরে মোবাইলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাহিরের ব্যবসায়ীদের হুমকি ও হয়রানীর পথ বেছে নিয়েছেন।করোনা মহা বিপর্যয় কালে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের কয়েক দফা অভিযানে অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ি বিনষ্টে ও জরিমানাকরা হয়। সর্বশেষ প্রসাশনের ডাকা বৈঠকে ব্যবসায়ীরা অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ি ক্রয না করার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.