Header Ads

ঘুর্ণিঝড় ফণী’র আঘাত হানার আশংকায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় পাইকগাছার ৩ লাখ মানুষ

বি‌শেষ প্র‌তি‌নি‌ধিঃ
ঘুর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে এমন আশংকায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছে উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন পাইকগাছার ৩ লাখ মানুষ। শুক্রবার সকাল ১১টার পর ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া শুরু করে এবং সন্ধ্যার পর বেশিরভাগ মানুষ নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে আশ্রয়ন কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।

এদিকে, ঘুর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার দিনভোর ঝুকিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছেন ইউএনও জুলিয়া সুকায়না। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে এমন আশংকায় শুক্রবার সারাদিন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে ছিল সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সকাল ১১টার পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয় এবং একই সাথে দমকা হাওয়া সহ বৈরি আবহাওয়ায় বিরাজ করায় এলাকার মানুষের মধ্যে এক ধরণের ভীতি সৃষ্টি হয়। ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষ অনেকেই আগে-ভাগে আশ্রয় নেয় আশ্রয়ন কেন্দ্রে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এলাকার কোথাও তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা এবং ঝড়ের প্রাণহানী ও ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও জুলিয়া সুকায়না জানান, অত্র উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে আমরা ঝুকিপূর্ণ ইউনিয়নগুলো চিহ্নিত করে এসব ইউনিয়নের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ, মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করি।

শুক্রবার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে টিম গঠণ করা হয়। এসব টিম পৃথক পৃথকভাবে ঝুকিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া ৯৯টি ওয়ার্ডে ৯৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়ন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যাতে মানুষ সহজেই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য আলাদা-আলাদা মেডিকেল টিম গঠণ করা হয়েছে। পুলিশ, আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য ও রোভার স্কাউটরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে ইউএনও জুলিয়া সুকায়না জানান।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু জানান, আমি নিজেই নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে ঘুর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাব মনিটরিং করছি। প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন উপকূলবাসী সহ বাংলাদেশের মানুষকে ঝুর্ণিঝড় ফণী’র আঘাত থেকে রক্ষা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা আরো বেড়ে যায়। রাতটা যেন ভালভাবে পার হয়ে যায় এমন আশা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাবেন উপকূলীয় পাইকগাছার ৩ লাখ মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.