Header Ads

প্রাথমিকে ৯৩২ দপ্তরীর চাকরি রাজস্ব খাতে নিতে আদালতের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ৯৩২ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।এ সংক্রান্ত ছয়টি রিট আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ে এ নির্দেশ দেয়।

রিট আবেদনকারীদের পক্ষে চূড়ান্ত শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও নাসিরউদ্দিন খান সম্রাট। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
নাসিরউদ্দিন সম্রাট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ সংক্রান্ত পৃথক ছয়টি রিট একীভূত করে রায় দিয়েছেন। রায়ে রিটকারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাশাপাশি ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম-প্রহরী পদে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা ২০১২’ এর যেসব নীতি আইএলও কনভেনশন ও বাংলাদেশের শ্রম আইনের সাথে সাংঘর্ষিক, সেরকম কয়েকটি নীতি অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।”
সরকার ২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগের জন্য নীতিমালা তৈরি করে। এরপর সারাদেশে ৩৬ হাজার ৯৮৮টি পদj সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগ দেয় সরকার।
সংশ্লিষ্টদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চেয়ে সংশ্লিষ্টরা গত বছর ছয়টি রিট আবেদন করেন। সেসব আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময় আদালত রুল জারি করে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম প্রহরীদের চাকরি কেন রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হবে না এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম-প্রহরী পদে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা ২০১২ সংশোধনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।
সেসব আবেদন একীভূত করে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার রায় দিল হাই কোর্ট

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.