Header Ads

পাইকগাছায় একসাথে ৫ বাসায় রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড!

বিশেষ প্রতিনিধি: পাইকগাছা-কয়রার সীমান্তবর্তী কাঁঠালতলা বদ্ধ জলমহালের ইজারাদারদের ৫টি বাসা অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে জলমহালের বাইনবাড়িয়া ও চান্নিরচক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, জলমহালটি নিতে ব্যর্থ হয়ে আগের ইজারাদাররা বর্তমান ইজারাদারদের ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সর্বশেষ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, কয়রা উপজেলার পাইকগাছা সীমান্তবর্তী ভান্ডারপোল মৌজায় কাঁঠালতলা বদ্ধ জলমহালটি সরকারের ১ খতিয়ানের ১৪৪৩, ১৬ ও ৪৭ দাগের ২৭.০৮ একর জমি। যা খুলনা জেলা প্রশাসকের সায়রাত কেস নং- ২০/২০১৯, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত কেস নং- ১, তাং- ০৪/০৪/১৯ দীর্ঘমেয়াদি ইজারা দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, খুলনাকে নির্দেশ দিলে গত ২৪ এপ্রিল কয়রার পাটনীখালী পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় ৬ বছর মেয়াদি ইজারা নেয়। ইতঃপূর্বে ওই জলমহালের উত্তর খণ্ডে রবিউল ইসলাম ও তৌহিদ হোসেন চান্নিরচক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কাছ থেকে ৩ বছর মেয়াদি দেখাশুনার দায়িত্ব নেন। তাদের মেয়াদ ৩০ চৈত্র ১৪২৫ শেষ হয়, কিন্তু রবিউল জলমহাল ছেড়ে দিলেও তৌহিদ হোসেন অবৈধভাবে জলমহালটি দখলে রেখেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খুলনা থেকে আসা তৌহিদ হোসেন ও রায়হান এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়ে জলমহাল এলাকায় তাদের নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন। তাদের ভয়ে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবন যাপন নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এক মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। জলমহালে স্থানীয়দের কোনো হাঁস গেলেও তা ফেরত আসে না। তাদের সাথে বিল্লাল, রহমান, আজগার, সাঈদ, খোকন, আয়জুল, কার্তিক, সাইফুল গং সঙ্ঘবদ্ধভাবে খালের দু’পাড় পাইকগাছার বাইনবাড়িয়া ও কয়রার চান্নিরচক গ্রাম দু’টি সন্ধ্যার পর আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাদের হামলা-মামলার ভয়ে এলাকাবাসীও তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না। জলমহালের বর্তমান ইজারাদাররা জানান, পাইকগাছা এবং কয়রা সীমান্ত দিয়ে তাদের কয়েকটি ছোট ছোট বাসা ছিল। শুক্রবার ভোর রাতে তারা বর্তমান ইজারাদারকে ফাঁসাতে প্রধান বাসাসহ ৫টি বাসায় আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করে দেয়।
খালের পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা প্রসাদ চক্রবর্তী, জয়ন্ত মন্ডল, সঞ্জয় মন্ডল, বাপ্পী মন্ডল, নিতিশ বৈরাগীরা জানান, গতকাল ভোরে জনৈক কার্তিক, বিল্লাল, সাইফুল ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকারে দিয়ে বাসাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই দাবি, খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা ফুলকি মন্ডল, মমতা মন্ডল, শেফালী মন্ডলসহ একাধিক মহিলার।
বর্তমানে ইজারাদার পাটনীখালী পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে সভাপতি আনিছ সরদার প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা সরকারি রাজস্ব জমা দিয়েও এখন পর্যন্ত জলমহালটির দখল নিতে পারেননি। অন্য দিকে বাসা পোড়ানোর ঘটনাটি তাদের দখ ল প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.