Header Ads

পাইকগাছায় নেতাকর্মীদের একাংশের বর্জনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

বিশেষ প্রতিনিধি : পাইকগাছায় আওয়ামী লীগের একাংশের বর্জনের মধ্যদিয়ে সংগঠনের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেঁক কাটা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। প্রস্তুতি অনুযায়ী রোববার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামানের পরিচালনায় কেঁক কাটার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা। পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব পক্ষই একত্রিত হয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় কার্যালয় সকল পক্ষের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। জায়গা স্বল্পতার কারণে কার্যালয়ের আশে-পাশেও অবস্থান নেয় অনেক নেতাকর্মী। এদিকে অনুষ্ঠানের মাঝ পর্যায়ে আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য শেষে অসুস্থ্যতার কথা বলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী। এ সময় তিনি তার অনুপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার ইকবাল মন্টু অবশিষ্ঠ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বলে ঘোষণা দেন। এ সময় সিনিয়র নেতাদের উপেক্ষা করে সভাপতিত্ব করার জন্য আনোয়ার ইকবাল মন্টুর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু। শেষমেষ আনোয়ার ইকবাল মন্টুকে সভাপতিত্ব করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় তাৎক্ষনিক ভাবে আলোচনা সভার অনুষ্ঠান বর্জন করে শেখ কামরুল হাসান টিপু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, বিজন বিহারী সরকার ও এসএম রেজাউল হক সহ আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করে বাইরে চলে যান। একাংশের নেতাকর্মীরা চলে গেলেও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান যথারীতি সম্পন্ন করা হয়। বর্জন প্রসঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক শেখ কামরুল হাসান টিপু জানান, অনুষ্ঠানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান ও আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী সহ অনেক সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে উপেক্ষা করে আনোয়ার ইকবাল মন্টুকে সভাপতিত্ব করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় আমরা এর প্রতিবাদ করি। সিদ্ধান্ত অটল থাকায় আমরা বৃহৎ একটি অংশ আলোচনা সভা বর্জন করে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসি। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী জানান, অসুস্থ্যতার কারণে অনুষ্ঠানের মাঝ পথে আমি চলে আসি এবং এ সময় শহীদ এমএ গফুরের ছেলে সিনিয়র আওয়ামী লীগনেতা আনোয়ার ইকবাল মন্টুকে পরবর্তী সময়ের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য বলি। সংগঠনের সভাপতি হিসাবে আমি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি তা সঠিক রয়েছে। কেউ যদি অনুষ্ঠান থেকে চলে যায় এটা তার এবং তাদের নিজস্ব ও ব্যক্তিগত বিষয়।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.