পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে কলেজ শিক্ষকের সাথে প্রতারণা; নারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা
ভুক্তভোগী পাইকগাছা সরকারি কলেজের প্রভাষক ও বাতিখালী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের ছেলে মাসুদুর রহমান মন্টু বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শোভা ইসলাম আমাকে ফেসবুক থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়। তার অনেক অনুরোধে তার রিকুয়েস্টটি এক্সসেপ্ট করি। পরে সে আমাকে জানাই আমাদের এলাকার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা জনৈক সেলিম আমার বোন লিজার নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং বোনের গর্ভে ২ মাসের বাচ্চা রয়েছে। এ ব্যাপারে লিজা খানকে সহযোগিতা করার জন্য আমাকে সে অনুরোধ করে। ৩০ জানুয়ারি শোভা ইসলাম একটি ফোন নাম্বার দেয় লিজা খানের সাথে কথা বলার জন্য। আমি ওই নাম্বারে কথা বললে লিজা খান যশোর কোতয়ালি থানায় এসআই পদে কর্মরত আছে উল্লেখ করে জনৈক সেলিমের বিষয়ে সাহায্য চাই। লিজা খান তার চাকুরিচ্যুত হওয়ার সমস্যার কথা বলে আমাকে খুলনা কেসিসি মার্কেটে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর ১৩/০১/২০২৩ তারিখ দেখিয়ে ১ লক্ষ ১ টাকার একটি এ্যাফিডেফিট করে নেয়। পরে আবার বলে একটি কাবিননামা হলে তার চাকুরি যথাযথভাবে বহাল থাকবে। এ কথা বলে অনেক অনুনয় এবং কান্নাকাটি করলে লিজা খান ওরফে আকলিমা আক্তার আঁখির অনুরোধে আমি ২৯/০৩/২০২৩ তারিখ আবারও খুলনা কেসিসি মার্কেটে যায়। সেখানে যাওয়া পর জনৈক আমিনুর রহমানের কম্পিউটার দোকানে ফেলে আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ১ টাকার কাবিননামা করে নেয়। পরে ওই কাবিননামাটি আমার স্বাক্ষর ও ফিঙ্গার প্রিন্ট জাল করে ১০ লক্ষ টাকার বানোয়াট দেনমোহর সৃষ্টি করে।
এরপর আপত্তিকর কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। তখন আমি চেষ্টা করে তার প্রকৃত পরিচয় জানতে পারি। এরপর আমি প্রথমে শোভা ইসলামকে বিবাদী করে পাইকগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী করি, যার নং- ৭৮৮, তারিখ ১৬/০৫/২০২৩, লিজা খানের বিরুদ্ধে জিডি নং-৬০১, তারিখ ১২/০৬/২০২৩। এরপর আকলিমা আক্তার আঁখি, শোভা ইসলাম, কাজী মাওঃ আল আমিন ও মাওঃ ফেরদৌস হোসেনকে আসামী করে অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিমের আমলী আদালত, খুলনা থানা, খুলনায় ৯৫৯/২৩ নং সিআর মামলা করি। এছাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত খুলনা সদর, খুলনা আদালতে ৯৬/২০২৩ নং দেওয়ানী ও বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরো একটি মামলা করি। বর্তমানে ওই নারী এলাকার বিভিন্ন মানুষের ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক মাসুদুর রহমান ও তার পরিবার।
কোন মন্তব্য নেই