শিরোপা হাতছাড়া টাইগারদের
আরেকটি শিরোপা হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে
শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৯ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে একাই
লড়াই করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৭৬ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হন
তিনি। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আজ অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ২২ বছর
বয়সী শ্রীলঙ্কান পেসার শিহান মাদুশানকা হ্যাটট্রিক করেছেন। ফাইনালে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৯ রানে হেরে গেল মাশরাফি বাহিনী। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফসেঞ্চুরি করে চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে। জবাবে ৪১.১ ওভারে ১৪২ রানে নয় উইকেট হারায় স্বাগতিক শিবির। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া সাকিব আল হাসান আর ব্যাট করতে পারেননি।
২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১১ রানে লঙ্কান পেসার দুশমান্থা
চামিরার বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ধনাঞ্জয়ার ক্যাচ হয়ে ফেরেন ওপেনার তামিম
ইকবাল। ১৮ বল খেলে তিন রান করে পুরো সিরিজে দুর্দান্ত খেলা এ বাঁহাতি।
তামিমের পর রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ
মিঠুন। ২৭ বলে একটি ছক্কায় ১০ রান করেন তিনি।
চামিরার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত দুই রানে আউট হন সাব্বির রহমান। অন
সাইডে শট খেলতে গিয়ে গুনারত্নের ক্যাচে পরিণত হন ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যর্থ
সাব্বির।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে দলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন
মুশফিকুর রহিম। তবে দলীয় ৮০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২২ রানে আকিলা ধনাঞ্জয়ার
বলে থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিলে টাইগারদের চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। ৪০ বল
মোকাবেলা করে একটি চার হাঁকান তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ।
ধনাঞ্জয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত পাঁচ রানে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন।
দলীয় ১২৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৯ বলে আট রান করেন
তিনি।
৪০তম ওভারে পর পর দুই বলে মাশরাফি ও রুবেলকে তুলে নিয়ে সফরকারী
শ্রীলঙ্কাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেন পেসার মাদুশাঙ্কা। মাশরাফিকে মেন্ডিসের
ক্যাচ ও রুবেলকে বোল্ড করেন তিনি। দলের একমাত্র হাল ধরে খেলা মাহমুদউল্লা
রিয়াদ চেষ্টা করে যান। তবে ৪২তম ওভারে মাদুশাঙ্কার বলে
আসেলা গুনারত্নেকে ব্যক্তিগত ছয় রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরে
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালকে ৪৫ রানে বোল্ড করেন। ব্যক্তিগত ৭
রানে থাকা শেহান মাদুশাঙ্কাকেও বোল্ড করেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে সুরাঙ্গা
লাকমাল রান আউট হন। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের থ্রোতে স্ট্যাম ভাঙে তার।
রুবেলের চার উইকেটের পাশাপাশি দুটি উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে
উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান, মাশরাফি ও সাইফ।
কোন মন্তব্য নেই