Header Ads

পাইকগাছায় বাড়িতে বাড়িতে ফেরি করে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান

বিশেষ প্রতিনিধি : সচারাচার যে কোন পণ্য কিংবা সামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে ফেরি করে বিক্রি করতে দেখা গেলেও এবার ফেরি করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাইকগাছা জোনাল অফিস। “লাগবে বিদ্যুৎ, লাগবে বিদ্যুৎ” এভাবেই “আলোর ফেরিওয়ালা” সেজে মানুষের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে একজন সাধারণ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিনব এ কর্মসূচি সাড়া ফেলে দিয়েছে মানুষের মধ্যে। এত সহজ পন্থায় এর আগে কখনো সংযোগ মেলেনি বলে সাধারণ গ্রাহকরা জানিয়েছে। গত কয়েক বছর আগেও একটি সংযোগের জন্য একজন গ্রাহককে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা। একদিকে যেমন কমে এসেছে লোডশেডিং এর পরিমাণ অপর দিকে বেড়েছে গ্রাহক সেবার মান। বর্তমান সরকার প্রতিটি বাড়ীতে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর সেটি প্রমাণ করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির “আলোর ফেরিওয়ালা” কর্মসূচী।

রবিবার সকালে ব্যাতিক্রমধর্মী সেবামূলক এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাইকগাছা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মোঃ ফজলুর রহমান। কর্মসূচির আওতায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্মা-কর্মচারীরা ভ্যানে মিটার, তার, মই ও প্রয়োজনীয় সরজ্ঞাম নিয়ে ভ্যানের সামনে “আলোর ফেরিওয়ালা” প্যানা লাগিয়ে মানুষের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে বিদ্যুৎ লাগবে, বিদ্যুৎ লাগবে প্রচার করার মাধ্যমে খুব সহজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে।
 
ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি বাতিখালী গ্রামের বাসিন্দিা এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু জানান, বিদ্যুৎ অফিসে ধর্না না দিয়েই মাত্র কয়েক মিনিটেই সংযোগ পাওয়ার ব্যবস্থা ইতোপূর্বে কখনো দেখিনি। এত অল্প সময়ের মধ্যে এবারই প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম বলে জানান, সরল গ্রামের সুব্রত কুমার সানা। আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচী অব্যাহত থাকলে আগামীতে কোন গ্রাহককে আর হয়রানী হতে হবে না বলে নতুন গ্রাহক সরল নবপল্লীর এ্যাডঃ অবনী মোহন সানা জানান। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মোঃ ফজলুর রহমান জানান, এ ধরণের কর্মসূচি ইতোমধ্যে দেশের দু’একটি জায়গায় শুরু হতে পারে। তবে বিদ্যুৎ সুবিধা অতিসহজে মানুষের দৌড় গোড়াই পৌছে দিতে অভিনব এ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। আমি বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় দেখেছি এক সময় গ্রাহককে সংযোগের জন্য মাসের পর মাস ও বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ৬ হাজার আবেদন পেন্ডিং থাকতে দেখেছি। বিদ্যুৎ বিভাগের সেই অবস্থা এখন আর নেই। আমুল পরিবর্তন এসেছে সেবা ব্যবস্থাপনায়। আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচির মাধ্যমে সংযোগ পাওয়া খুব সহজতর হয়েছে। অফিসে এসে কোন গ্রাহককে দিনেরপর দিন হাটতে হবে না। মিটারের জন্য কাউকে অপেক্ষা করতে হবে না। শুধুমাত্র ওয়ারিং থাকলেই আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচীর মাধ্যমে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই একজন গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এ কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রথম দিনেই প্রায় ১৫জন গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং পল্লী বিদ্যুতের এ কর্মসূচীকে সাধারণ মানুষ ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে পল্লী বিদ্যুতের উর্দ্ধতন এ কর্মকর্তা জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.