Header Ads

লাল-সবুজের জার্সিতে বড় তারকা হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে পাইকগাছার দেবাশিষ ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়রা

মফস্বলে নজর দিলে ফুটবলের জৌলস ফিরবে
এন, ইসলাম সাগর, পাইকগাছা (খুলনা) :
প্রতিভা কখনও ঝাঁকে ঝাঁকে জন্মায় না। সময়ের বিবর্তনে তারা আসেন আর জয় করেন সবার মন। দেবাশিষ ফুটবল একাডেমি তেমনি একটি সম্ভাবনাময় প্রতিভাবান একাডেমি। যে একাডেমির হাত ধরে নতুন করে এগিয়ে চলেছে পাইকগাছা তথা বাংলাদেশের একেবারে মফস্বলের একটি ফুটবল একাডেমি। ধীরে ধীরে একাডেমিতে তৈরী হচ্ছে নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান সব খেলোয়ার। স্বপ্ন দেখছে লাল-সবুজের জার্সিতে বড় তারকা ও উজ্জ্বল এক নক্ষত্র হয়ে ওঠার। আসলে সৃষ্টিকর্তা কখন কাকে কোথায় নিয়ে যায় কেউ তা জানে না। যেমনটা কল্পনা করেননি দেবাশিষ ফুটবল একাডেমি, এটা এখন বাস্তবতায় রুপ নিয়েছে, আর সেই কাজটি করে যাচ্ছে দেবাশিষ ফুটবল একাডেমির প্রাণ ভোমরা দেবাশিষ সানা। যে ছোট থেকেই ফুটবলকে ভালবেসে সময়, শ্রম, অর্থ সব ব্যয় করে মফস্বল থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে তরুনদের উদ্ভুদ্ধ করছে। দক্ষিণাঞ্চলের ফুটবল যখন মৃতপ্রায় তখনই হাল ধরেছে মফস্বলের ছোট্ট এই একাডেমিটি।
একান্ত সাক্ষাতকারে একাডেমির পরিচালক তথা প্রতিষ্ঠাতা দেবাশিষ সানা জানান- সুদূর অতীত অভিজ্ঞতার ঘাটলে আমরা দেখি ‘গত শতাব্দীর বিশেষ করে সত্তর, আশি কিংবা নব্বইয়ের গোড়ার দিকেও এদেশের মানুষ ফুটবলকে ভালোবেসে পতাকা উড়িয়ে দিতো। সেই পতাকা ছিল ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্র কিংবা ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের, কখনো কখনো ব্রাদার্স ইউনিয়ন, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের মতো শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর পতাকাও দেখা যেতো সেই মিছিলে। আর এখন সেটি বিভাজন হয়ে আর্জেন্টিনা/ব্রাজিল কিংবা এফসি বার্সিলোনা/এফসি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য’।
    আমরা সবাই জানি যে, ‘ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ‘কিন্তু গত ৮/১০ বছরে এই দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না। ফুটবলে দর্শকের চাহিদা অনেক কমে গেছে। ফুটবলের জৌলস ফিরিয়ে আনতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মফস্বলে নজর দিয়েছেন, যার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপসহ বিভিন্ন ট‚র্ণামেন্টের আয়োজন করে ফুটবলের হারানো ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। যার কারনে আমি ও আমার একডেমি ফুটবলকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং খেলোয়াড়ারদের মানসম্মত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য খেলোয়াড় তৈরী করতে আমার ও আমার একাডেমির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। তবে সরকারের সুদৃষ্টি ও অর্থায়ন পেলে মফস্বলের ফুটবলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। দেবাশিষ সানা এই প্রতিবেদককে আরো জানান ইতোমধ্যে ঢাকার বড় বড় ক্লাবগুলি দেবাশিষ ফুটবল একাডেমির কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন এবং আগামীতে সকল ধরনের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ক্লাবগুলিতে জায়গা করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
    তিনি আরো বলেন অধিকাংশ ঘরোয়া ফুটবল ম্যাচ বিভিন্ন জেলা শহর ও মফস্বল শহরে আয়োজন করতে হবে। আর মফস্বলের প্রতিটি মাঠে যখন এমন উপচে পড়া দর্শকের উপস্থিতি ঘটবে, তখন ঢাকা এমনকি সমগ্র দেশের দর্শকরাই তা দেখে অনুপ্রাণিত হবেন এবং সকলেই তখন ফুটবলের নির্মল আনন্দ উপভোগ করার জন্য মাঠমুখী হবেন।’‘আমরা সেই জাতি যারা ফুটবলকে ব্যবহার করেছি সর্বোচ্চ পর্যার্য়ে অথচ আজ আমাদের ফুটবলের বেহালদশা! প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আবারও ফুটবলের হারানো দিন ফিরে বলে আমার বিশ্বাস।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.