Header Ads

পাইকগাছায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউএনও জুলিয়া সুকায়নার ব্যস্ত সময় পার; দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত


পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছায় করোনা পরিস্থিতির কারণে টানা কয়েক দিন স্থবির হয়ে পড়েছে সব ধরণের কার্যক্রম।  ফলে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। অঘোষিত লক ডাউনে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যার কারণে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন এলাকার নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া, দিন মজুর, শ্রমজীবী, দুস্থ ও অসহায় মানুষ। দূর্ভোগে থাকা এ সব মানুষের সার্বক্ষণিক পাশে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। দুস্থ ও অসহায় মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও জুলিয়া সুকায়না করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ সহ অসহায় মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে বিরামহীনভাবে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে অধ্যাবধি করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি নিজ পরিবারকে উপেক্ষা করে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে দেশ এবং দেশের মানুষকে করোনা থেকে মুক্ত রাখতে নানান প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো তিনি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট নিয়ে ছুটে চলেছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। কখনো আবার মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন মাস্ক সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পরিচালনা করছেন ভ্রাম্যমান আদালত ও সেনা অভিযান। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের মনিটরিং করা সহ সার্বক্ষনিক সমন্বয় করে চলেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ, থানা পুলিশ  ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে। কনোরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পাশাপাশি টানা কয়েকদিন সব ধরণের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় দূর্ভোগে থাকা নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের দূর্ভোগ লাঘবে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কখনো রাতের আধারে, কখনো দিনের আলোতে, কখনো পড়ন্ত বেলায়, কখনো গোধুলী সন্ধ্যায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে চলেছেন দুস্থ ও অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। ইতোমধ্যে তিনি বস্তির বাসিন্দা, গণ পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, ইজিবাইক চালক ও সেলুন শ্রমিক সহ নানা শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন খাদ্য সামগ্রী। তিনি মঙ্গলবার দুপুরেও ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পিকআপ ভর্তি খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গড়ইখালী ইউনিয়নে। ইউনিয়নের শিবসা নদীর ধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আবাসন প্রকল্পে বসবাস করেন প্রায় ২ শতাধিক দুস্থ ও অসহায় পরিবার। এসব পরিবারের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয় থেকে প্রাপ্ত চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ ও পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। বিতরণ কালে তিনি কয়েকজন বৃদ্ধা নারীর পাশে বসে সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে আবারও মানবিকতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন মমতাময়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, যুগ্ম-সম্পাদক এন ইসলাম সাগর ও সার্ভেয়ার অতুল। কনোরা পরিস্থিতির মধ্যে ইউএনও জুলিয়া সুকায়নার মানবিকতা প্রসঙ্গে গড়ইখালী আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ১৩০ বছর বয়সের বৃদ্ধা আবিরণ বিবি জানান, মই আর বেশি দিন বাচুম না, মোর বয়সে এই প্রথম সরকারি সহায়তা পেলাম। উনারমত একজন কর্মকর্তা মোর শেষ বয়সে যে মমতার পরশ দিয়েছে তা কখনো ভোলার নয়। আল্লাহ (ইউএনও) উনাকে অনেক বড় করুক, উনি অনেক দিন বেঁচে থাক। এমনি ভাবে ঘরে বসেই সহায়তা পেয়ে দুস্থ ও অসহায় মানুষেরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইউএনও জুলিয়া সুকায়নাকে ধন্যবাদ জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.