Header Ads

পাইকগাছায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা; সংক্রমন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ দরকার

পাইকগাছা প্রতিনিধি :
পাইকগাছায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পহেলা জুন থেকে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ পর্যন্ত ৯ জন নারী-পুরুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানাগেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, অসুস্থ্য ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের পর দেরিতে রিপোর্ট পাওয়া সহ সংক্রমিত ব্যক্তির অসচেতনতার কারণে সংক্রমন দ্রæত পরিবার পরিজন সহ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। সর্বশেষ হিমা বেগম নামের এক নারী ও প্রদীপ শীল নামে দুই জনের মধ্যে নতুন করে কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া গেছে। এদিকে পৌর কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার পৌরসভার ৭ কাউন্সিলর কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান।
    সূত্রমতে, গত পহেলা জুন উপজেলার কপিলমুনিতে প্রথম করোনা সনাক্ত হয়। সাংবাদিক তপন কুমার পাল ও শাহাপাড়া এলাকার পুলিশে কর্মরত রমজান আলী এলাকার প্রথম করোনা রোগী। এরপর ১০ জুন কপিলমুনির সাংবাদিক তপন পালের স্ত্রী ও কাশিমনগর গ্রামের রাম প্রসাদ সেন, ১২ জুন প্রতাপকাটী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান সরদার ১৪ জুন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ এবং কপিলমুনি এলাকার প্রসেনজিৎ ও ১৫ জুন ও রাড়–লী ইউনিয়নের শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী হিমা বেগমের মধ্যে কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। এদের বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না। লকডাউন প্রত্যাহারের পর হঠাৎ করে জুন মাস জুড়েই এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ কপিলমুনি ইউনিয়নের বাসিন্দা। যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের ভীতি, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন স্বাস্থ্যবিধি নিষেধ যথাযথ ভাবে না মানা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় হঠাৎ করে সংক্রমনের হার বেড়েই চলেছে। অনেকেই বলছেন অসুস্থ্য ব্যক্তি নমুনা দেওয়ার পর তার রিপোর্ট পেতে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিপোর্ট আসতে যে সময় লাগছে এর মধ্যে ওই ব্যক্তির দ্বারা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। আবার অনেকেই বলছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত অবস্থায় অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন যাদের পরিবারের সদস্যরা এলাকায় এসে স্বাভাবিক চলাফেরা করছে। এর মাধ্যমেও সংক্রমন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি কিংবা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। সংক্রমন রোধে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি নিষেধ যথাযথ বাস্তবায়ন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন করা, নমুনা সংগ্রহের পর দ্রæত রিপোর্ট সরবরাহ নিশ্চিত করা, অসুস্থ্য ও সংক্রমিত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নিবিড় মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা এবং প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর তাগিদ দিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.