Header Ads

৭৬তম মহা প্রয়াণ দিবসে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়কে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :
জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ৭৬তম মহা প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র সাহিত্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকালে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লীস্থ বিজ্ঞানীর বসতবাড়ীর সামনে প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করার সময় উপস্থিত ছিলেন, সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক রণজিৎ কুমার মন্ডল, সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার দাশ, ডাঃ পঞ্চানন চক্রবর্তী, দীপংকর কুমার বিশ্বাস, শেখ আছাদুল্লাহ মিঠু, ডাঃ মনি শংকর হরি, পল্লব কুমার বিশ্বাস, ডাঃ শংকর কুমার দেবনাথ, প্রদীপ কুমার ঘোষ ও নন্দলাল দেবনাথ।
    উলে¬খ্য বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল¬চন্দ্র পিসি রায় ১৮৬১ সালের ২ আগষ্ট খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ তীরের রাড়–লী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হরিশ্চন্দ্র রায় চৌধুরী ও মাতা ভূবন মোহিনী দেবী। তিনি একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ, শিল্পপতী, রসায়নবিদ, সমাজসেবক, সমবায় আন্দোলনের পুরোধা ও রাজনীতিবিদ। তিনি কলিকাতার মানিক তলায় ৮শ টাকা পুজি নিয়ে বেঙ্গল কেমিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ঔষধ শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় লাখো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। পিসি রায় দেশের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের মিল ও জন্মভূমি রাড়–লীতে একমাত্র সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। একাধারে তিনি ২০ বছর কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়ন শাস্ত্রের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বৃটিশ সরকার তাকে ১৯৩০ সালে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। এছাড়া একই বছর লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের মহিশুর ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। পিসি রায়ের পিতা হরিশ্চন্দ্র স্ত্রী ভুবন মোহিনীর নামে রাড়–লীতে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। বিজ্ঞানী পিসি রায় ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন পরলোক গমন করেন। চিরকুমার এ বিজ্ঞানী জীবনের অর্জিত সকল সম্পদ মানব কল্যাণে দান করে যান।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.