Header Ads

পাইকগাছা পৌরসভার সরল বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাইকগাছা প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছা পৌরসভার সরল বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বে-আইনী ভাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে সরল বাজারে পাইকগাছা নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ গাজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, এ্যাডঃ প্রশান্ত কুমার মন্ডল, শেখ আকবর আলী, ফারুক হোসেন, রিপন সহ অনেকেই। বক্তারা বলেন, জেলা পরিষদের জায়গার ওপর এলাকার ২০ থেকে ২২ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ২০ থেকে ২৫ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসছে। কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি ইজারার নামে বে-আইনী ভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বে আইনী। যারা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রæত আইনের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িদের পুনর্বাসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা। উল্লেখ্য, পৌরসভার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেলা পরিষদের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুর পাড়ে স্থানীয় অসহায় ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা পরিচালনা করে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পাশাপাশি বাজারের কারণে অত্র এলাকা পৌরসভার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। জেলা পরিষদের কোটি কোটি টাকা মূল্যের এ সম্পত্তির ওপর অনেকের দৃষ্টি রয়েছে। এলাকার জনৈক মুজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তি জেলা পরিষদের পুকুরটি ইজারা নিলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিরোধ দেখা দেয়। ইজারাদার বাজারের জায়গা সহ ইজারা নিয়েছে এমন অভিযোগে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে নানা ধরণের চেষ্টা করে। যার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে তার লোকজন বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে। এতে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সহ দু’পক্ষ থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করে। যার কোনটি এখনো মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি বলে থানার ওসি এমদাদুল হক জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই বলেন, হাটের এই জায়গা নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য চলছে। পজিসন দেবো বলে অনেকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় আব্দুল মজিদ বয়াতী জানান, বাজারে যারা হামলা করেছে তারা প্রায় সবাই জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত। এরা জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের সময় সরল বাজারের প্রধান সড়কে বড় বড় গাছ ফেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সড়কে টায়ারের আগুনে পথচারী শিশুও অগ্নিদগ্ধ হয়। এ সব খবর ওই সময় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয় এবং সারা বিশ্ব তা দেখে। হামলা ও ভাংচুর করার সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ছবি তুলেছেন। ছবিতে এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের অনেকের নামে থানায় নাশকতা মামলা রয়েছে। অনেকের নাম ডিজিএফআই, এনএসআই ও ডিএসবি’র তালিকায় রয়েছে। সর্বোপরী কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতি ছাড়া সাধারণ কোন ব্যক্তির সরকারী জায়গার ওপর কোন প্রতিষ্ঠানে এভাবে হামলা ও ভাংচুর করার আইনগত কোন সুযোগ আছে কিনা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ সহ পুনর্বাসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপুর আশুহস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। 

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে এমপি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা
পাইকগাছা পৌরসভার সরল বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.