Header Ads

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার

পাইকগাছা প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্বের দুই ঋণ গ্রহীতা মিথ্যা অভিযোগ এনে অপপ্রচার করছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্রে জানাগেছে। 
সুত্রমতে, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর পাইকগাছায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অগ্রনি ভ‚মিকা রেখে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি হাজারো বেকার যুব ও যুব নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। অত্র দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ ও ঋণ গ্রহণ করে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭১১ জন যুব ও যুব নারী আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন। খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও তিনি সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে দপ্তরের খেলাপী ঋণ আদায়ের হার ৯৮%। উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণ করে অর্জন করেছেন কৃতিত্ব। তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপজেলা প্রশাসনের কাছে একজন দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। ফলে নিজ দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি পালন করে থাকেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল ট‚র্নামেন্ট জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করে প্রশংসা অর্জন করেন। এ পর্যন্ত তিনি দু’টি জাতীয় ও দু’টি উপজেলা নির্বাচনে সফলতার সহিত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ১৯৮৫ সালে পাইকগাছা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৮৮ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালিন সময়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাইকগাছা সফর করেন। ১৯৯১ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালীন সৈয়দ আমির আলী হল ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করলেও পূর্বের দুই ঋণ গ্রহীতার নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারেননি। ফলে অমর ও  তুহিন নামের দুই ঋণ গ্রহীতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান-মূলত অমর ও তুহিন এরা দু’জন আমার দপ্তরে ঋণ গ্রহিতা ছিলো। অমর প্রথম দফায় ৬৫ হাজার টাকা ঋণ নেয়। পরে এলাকায় তার প্রকল্প না থাকায় ডুমুরিয়ার প্রকল্প দেখিয়ে ২য় দফার ঋণ দাবী করে। এ কারনে তাকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। অপর দিকে তুহিন প্রথম দফার ঋণ পরিশোধ করলে ২য় দফায় তাকে ৭৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়। কয়েকটি কিস্তি দেয়ার পর ধারাবাহিকভাবে সে কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। বার বার তাগিদ দেয়ার পর ঋণ দিতে অস্বীকার করলে মেয়াদশেষে তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করার মাধ্যমে ঋণের টাকা আদায় করা হয়। এ কারনে তারা দু’জন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করছে। এক লক্ষ টাকার দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরনের অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ এই ধরনের কোন প্রকল্পের এখনো পর্যন্ত কোন আর্থিক অনুমোদন পাওয়া যায়নি। পৌরসভা নয় কর্ম এলাকার কোথাও আমি জায়গা জমি কিনি নাই। পোষ্ট অফিসহ ব্যাংকেও কোন ডিপোজিট নাই। নেশাগ্রস্থ কর্মকর্তা হিসেবে অপপ্রচার করা হচ্ছে, বর্তমানে আমি কোন ধুমপানও করি না। এছাড়া কোন প্রশিক্ষনার্থীর আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। সফল আত্মকর্মী জামিনুর ইসলাম জানান-যুব উন্নয়ন দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমি আজ স্বাবলম্বী। জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত নিজামউদ্দীন জানান-সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমার কম বেশি যাওয়া হয় আমার জানামতে এখানে কোন অনিয়ম হয় না। প্রজ্ঞা পারমিতা জানান, রেজাউল করিম স্যার একজন ভদ্র ও দক্ষ কর্মকর্তা। প্রশিক্ষাণার্থীদের সাথে উনি কখনো খারাপ আচারণ করেন না। 

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.