Header Ads

মাত্র ৪ জন চিকিৎসক দিয়েই পাইকগাছায় চলছে নামমাত্র সরকারী চিকিৎসা সেবা

ডেস্ক রিপোর্ট।।
৯ বছর ধরে ৫০ শয্যা শুধু কাগজে : এক্স-রে মেশিন নষ্ঠ ৬ বছর ধরে : গর্ভবতী মায়েদের সেবা সম্পূর্ণ বন্ধপাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন প্রধান কর্তা শুন্য। দীর্ঘ দিন যাবত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্তার পদ শুন্য থাকায় কর্মকর্তা কার্মচারীদের বেতন ভাতাসহ প্রশাসনিক কাজ কর্মের অবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে। অপরদিকে চিকিৎসক সংকটে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। এরমধ্যে আবার এ্যানেসথেশিয়া ডাক্তারের অভাবে গর্ভবতী মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়িত গর্ভবতী মায়েদের। গর্ভবর্তী মায়েদের সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে যেতে হচ্ছে জেলা শহরে কিংবা স্থানীয় কোন ক্লিনিকে। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটে উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষ লোকের স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। হাসপাতালে আগাত রোগীদের সংখ্যা একেবারে কমে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ লোকের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য উপজেলা সদরের ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়। জনবহুল এ উপজেলায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় শুধুমাত্র খাতা কলম কিংবা ফাইল পত্রেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। কাঙ্খিত জনবল এখনও পদায়ন হয়নি। ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে বর্তমানের কার্যক্রম। তাও আবার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক অনেক কম। প্রতিদিন বহিঃবিভাগে প্রায় দেড় দুই’শ সাধারণ রোগীর পদচারণা ঘটে। এরপর আন্তঃ বিভাগে রয়েছে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী। ৩/৪ মাস আগে হাসপাতালের বেড ছাড়া বারান্দায়ও রোগী থাকতে দেখা গেছে। হাসপাতালে ১৯৯৯ সাল থেকে সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে চালু হয় ইউওসি প্রজেক্ট। কার্যক্রম ভালভাবে চলায় স্বাস্থ্য বিভাগ ২০০৭ সাল থেকে ডিএসএফ কার্যক্রম শুরু করে। এই উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ভাল হওয়ায় পার্শ্ববর্তি কয়রা, দাকোপ, আশাশুনি থেকে বহু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসতেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সে কারণে গাইনী ওয়ার্ডেই শুধু ২০/২৫ জন রোগী ভর্তি থাকত প্রতিনিয়ত। এছাড়া অন্যান্য ওয়ার্ডেও রোগীর সংখ্যা কোন অংশে কম থাকতো না। অথচ চলতি বছরের ১২ ফেব্র“য়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ অবসরে যাওয়ার পর এবং এর আগে কয়েকজন ডাক্তার উচ্চতর পড়াশুনার জন্য দেশের বিভিন্নস্থানে বদলি হয়ে যাওয়ার কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ডাক্তার শুণ্য হয়ে পড়ে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ অবসরে যাওয়ার পর থেকে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা একেবারে অর্ধেকের কোটায় নেমে এসেছে। ডাক্তার না থাকার কারণে এখন আর রোগীর ভীড় আগেরমত লক্ষ করা যায় না হাসপাতালটিতে। একটি অপারেশনের অন্যতম সহায়ক হলো এ্যানেসথেশিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার। যাকে ছাড়া অপারেশন কার্যক্রম সম্ভব হয় না। সে কারনে তার বদলী জনিত কারণে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ানসহ সকল অপারেশন কার্যক্রম। বর্তমানে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গর্ভবতী মায়েদের। হাসপাতলের ৪ জন ডাক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা দিয়ে চলেছেন। হাসপাতালে যেখানে ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এছাড়া ফার্মাসিস্ট, ষ্টোর কিপার, রেডিওলজিষ্টি, ল্যাব টেকনেশিয়ানের পদ দীর্ঘদিন যাবত শুণ্য আছে। প্রায় ৬ বছর যাবত এক্স-রে টেকনেশিয়ার না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি নষ্ঠ হয়ে গেছে। এখন বাহির থেকে অনেক খরচ করে রোগীদের এক্স-রে করতে হচ্ছে। চিকিৎসক ও জনবল সংকট প্রসঙ্গে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজন কুমার সরকার জানান, ২১ জন ডাক্তার এর স্থলে রয়েছে মাত্র ৪ জন। আমরা সার্বক্ষণিক সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। তিনি জানান, যে ক’জন আমরা রয়েছি এর মধ্যে আবার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজ নিয়ে খুলনা ঢাকায় এবং উপজেলার বিভিন্ন মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ট্রেনিং এ আবার মেডিকেল অফিসারদেরকেও পাঠাতে হয়। সবমিলিয়ে হাসপাতালে প্রতিদিন জরুরী বিভাগ, আন্তঃ বিভাগ ও বহিঃ বিভাগ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ গত ১২ ফেব্র“য়ারী অবসরে যাওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ডাঃ বিকাশ কুমার শিকদার যোগদান করলেও ২৩ তারিখে তিনি আবার বদলি হয়ে যান। এরপর থেকে অদ্যবধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদে কেউ যোগদান করেননি। এদিকে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ শুণ্য থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কেননা বেতন ভাতার বিল ও অন্যান্ন বিলে এখন স্বাক্ষর করছেন জেলার সিভিল সার্জন। একটি বিল করে খুলনায় যেয়ে সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর নিয়ে এসে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে পাস করিয়ে আবার চেক বইতে স্

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.