Header Ads

চিংড়ি ঘেরের দূর্বল বাঁধের কারণে তলিয়ে যায় পাইকগাছার গড়ইখালীর দুটি আবাসন

 

বাসিন্দাদের দূর্ভোগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি মহল

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \ 

পাইকগাছার গড়ইখালী আবাসনের তলিয়ে যাওয়া এবং আবাসনের বাসিন্দাদের দূর্ভোগ নিয়ে একটি মহল অপরাজনীতি করছে এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকার পাশাপাশি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। 

সুত্রমতে-উপজেলার গড়ইখালীর সদরের শিবসা নদীর ধারে দু’টি আবাসন প্রকল্প রয়েছে। এখানে ১৪০ পরিবারের মত বসবাস করে। আবাসন দু’টি শিবসার ধারে অবস্থিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের শিকার হন এখানকার বাসিন্দারা। অসহায় এসব পরিবারের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরুর মাধ্যমে ১ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে দেন। কিন্তু নির্মিত বাঁধটি দুটি চিংড়ি ঘেরের কারণে মূল ওয়াপদার সাথে সংযুক্ত না হওয়ায় আমাবশ্যার প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার আবাসনের দক্ষিণ পাশে আলমশাহ মসজিদ সংলগ্ন এলাকার চিংড়ি ঘেরের বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে গোটা আবাসন এলাকা তলিয়ে যায়। এতে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাশাপাশি আবাসনের বাসিন্দাদের চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি দেখতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। পাশাপাশি সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় পানি নিষ্কাসন থেকে শুরু করে মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে আবাসনের বাসিন্দাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃতি ফুটবলার আব্দুস সালাম কেরু। এদিকে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে একটি মহল বিভিন্ন ধরণের অপরাজনীতি ও অপপ্রচার করছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে রোববার সরেজমিন গেলে অভিযোগ করেন আবাসনের বাসিন্দারা। ঘের মালিক রমজান গাজীর ছেলে নূরুজ্জামান গাজী জানান, পাশের ঘের মালিক মজনু সানা বাঁধ দেওয়ার কাজে বাঁধা প্রদান করায় প্রতিরক্ষা বাঁধটি মূল ওয়াপদার সাথে সংযুক্ত করা যায়নি। যার ফলে তার ঘেরের বাঁধ উপচে আবাসন তলিয়ে যায়। আবাসনের বাসিন্দা নূর আলী গাজী জানান, প্রতিরক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করা না হলে গোটা আবাসন এলাকা পানিতে ভেসে যেতো। নতুন নির্মাণ করা বাঁধের কারণে আমরা অনেকটাই রক্ষা পেয়েছি। ফারজানা বেগম জানান, আমরা গত কয়েকদিন চরম দূর্ভোগে রয়েছি। অথচ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস আমাদের কোন খোঁজ নেয়নি। আনোয়ারা বেগম জানান, ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম কেরু পানি নিষ্কাসন থেকে শুরু করে সার্বক্ষনিক আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে। আবুল গাজী জানান, আমরা ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, অথচ কেরু ভাই ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর হয়ে আমাদের সবধরণের সহায়তা করে থাকেন। সাথী বেগম জানান, কেরু ভাই ঈদে আমাদের সকলের বাড়ীতে কোরবানীর মাংস পৌছে দেয়। বুলবুল গাজী জানান, সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। কোন পরিবারের ঘর-বাড়ী না ভেঙ্গে প্রতিরক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস আমাদের কোন খোঁজ খবর না নিয়ে উল্টো আমাদের নিয়ে অপরাজনীতি করছে এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু জানান, আবাসনের দক্ষিণ মাথায় ঘের মালিকের অসহযোগিতার কারণে ৫শ ফুটের মতো বাঁধ নির্মাণ কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে অসমাপ্ত বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে পারলে দুটি আবাসন সহ গড়ইখালী বাজারকে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।


কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.