Header Ads

পাইকগাছায় চরম দূর্ভোগে গড়ইখালী আবাসনের আড়াই’শো পরিবার

 

প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট; ভেঙ্গে পড়েছে পয়োনিষ্কাসন ব্যবস্থা

এন ইসলাম সাগর, পাইকগাছা, খুলনা ঃ

পাইকগাছায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে তলিয়ে গেছে গড়ইখালীর দুটি আবাসন প্রকল্পের রাস্তা ঘাট ও পুকুর জলাশয়। ভেঙ্গে পড়েছে পয়োনিষ্কাসন ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন দুটি আবাসন প্রকল্পের আড়াই’শো পরিবার। পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা করা সহ দূর্ভোগে থাকা আবাসনের বাসিন্দাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃতি ফুটবলার আব্দুস সালাম কেরু। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবসা নদীর পানির প্রবল ¯্রােতে গড়ইখালীর আবাসনের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে এ দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগনেতা গাজী আব্দুস সালাম জানান, গড়ইখালী ইউনিয়নের সদরে মূল ওয়াপদার বাইরে শিবসা নদীর ধারে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী গড়ইখালী হাট, আলমশাহী মসজিদ ও দুটি আবাসন প্রকল্প। আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে মোকাবেলা করে বসবাস করে আসছে। নদীর ধারের দূর্বল প্রতিরক্ষা বাঁধের কারণে যেকোন ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় আবাসনে বসবাসরত পরিবারগুলোর। কখনো বাঁধ ভেঙ্গে আবার কখনো বাঁধ উপচে তলিয়ে যায় আবাসন এলাকা। লবণ পানির কারণে ইতোমধ্যে মরিচা ধরে অনেক পরিবারের বসত ঘরের টিন নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আবাসনের বাসিন্দা কাত্তিক দত্ত জানান, আমাদের দূর্ভোগের কোন শেষ নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিবসার ধারে প্রায় আড়াই’শো পরিবার আমরা বসবাস করে আসছি। হালিমা বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে নদীর পানিতে গোটা আবাসন এলাকা তলিয়ে যায়। ফারজানা বেগম জানান, রাস্তা ঘাট তলিয়ে বারান্দা পর্যন্ত পানি চলে আসে। দুলালী বাছাড় জানান, আবাসনের পাশে দুইটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। এই ঘেরের কারণে আবাসন এলাকা তলিয়ে যায়। যার ফলে গত ৩ দিন আমরা চরম দূর্ভোগে রয়েছি। বুলবুল গাজী জানান, এই মুহূর্তে এখানকার পয়োনিষ্কাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এখনো পর্যন্ত আমরা কোন ত্রাণ সহায়তা পায়নি। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু’র নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃতি ফুটবলার আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আব্দুস সালাম কেরু জানান, আলমশাহ মসজিদ হতে আলমগীরের দোকান পর্যন্ত ১ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ রয়েছে। বাঁধের অনেক অংশ দূর্বল ও সরু হওয়ার কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধ ভেঙ্গে অথবা উপচে আবাসন প্রকল্প সহ আশপাশ এলাকা তলিয়ে যায়। আমাবশ্যার প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার তলিয়ে যাওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পানি নিষ্কাসন ও বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি দূর্ভোগে থাকা আবাসনের বাসিন্দাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ধরণের দূর্ভোগ থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতিরক্ষা বাঁধটি টেকসই করা সহ বাঁধের পাশ দিয়ে চরভরাটি জমিতে সামাজিক বনায়নের দাবী জানিয়েছেন আবাসনের বাসিন্দা সহ এলাকাবাসী।


কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.