Header Ads

পাইকগাছায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে নির্বাচন; বিদ্রোহীদের চাপে বেকায়দায় নৌকার প্রার্থী

বিশেষ প্রতিনিধি: পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন বাকী মাত্র ৩ দিন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রার্থীর বিপরীতে ৩ জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রচারণা শেষ সময়ে এসে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে তৃনমূল ভোটারদের বক্তব্য লড়াই হবে দ্বিমুখী। দিন যতই যাচ্ছে বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাচ্ছে ভোটের মাঠ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামীলীগের হওয়ার কারণে তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন উপজেলার ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩৬ জন নারী- পুরুষ। এ নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল গুজব, অপপ্রচারসহ বিভিন্ন অপকৌশল ও অপরাজনীতিতে লিপ্ত থাকতেও দেখা যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে উৎসবমুখর করে তুলেছেন স্বতন্ত্র ৩ চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। তবে বিদ্রোহী নিয়ে বেকায়দায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ৪ প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছে।
    বিএনপি নেই মাঠে। এই অবস্থায় উত্তাপহীন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচন জমিয়ে তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণায় এরই মধ্যে নৌকার  প্রার্থী কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এ উপজেলায় নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলীকে। কিন্তু নির্বাচন উৎসবমুখর করার জন্য এবং ভোটারদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য ও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে সরকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোন বাধা-নিষেধ আরোপ করেননি। এ অবস্থায় ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের জেষ্ট্য পুত্র আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম। এছাড়াও ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে আছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব মোঃ রশিদুজ্জামান মোড়ল তিনি আনারস প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট শেখ আবুল কালাম আজাদ দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে ভোট মাঠে লড়াই করছেন।
    প্রচারণার শেষ মুহুর্তে এ উপজেলার নৌকার প্রার্থী নিজ দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের প্রচারণায় পাচ্ছেন না। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সভাপতি-সম্পাদক গোপনে ও পরোক্ষভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেলুটি ইউনিয়নের ত্যাগী আওয়ামীলীগের একজন কর্মী এ প্রতিবেদককে জানান-এটি হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন এখানে জনগণ যাকে পছন্দ করবে, তাকেই ভোট দেবে। এখানে দলীয় প্রতিকের কোন বিষয় না। দলের হাইকমান্ডের যদি কোন নির্দেশনা ও বিএনপি-জামায়াতের কোন প্রার্থী থাকতো তাহলে ভোটের মাঠে অবস্থান ভিন্ন হতো। যেহেতু সবাই আওয়ামীলীগের প্রার্থী সে-কারনে সাধারণ ভোটাররা যাকে পছন্দ করবে তাকেই ভোট দিবে। তবে তিনি ক্ষোভ করে বলেন- তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে এখানে প্রার্থী বাছাই করা হয় নাই।”
    স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান-দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তার পিতা সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ মোঃ নূরুল হক এ অঞ্চলের মানুষের সেবা করে করে গেছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিতা বজায় রাখতে ও আধুনিক একটি উপজেলা উপহার দেয়ার লক্ষ্যে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে ভোটমাঠে রয়েছেন এবং এ কারণে তিনি যেদিকেই যাচ্ছেন সাধারণ ভোটারের সমর্থন পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
    এ উপজেলায় ভাইস চয়োরম্যান প্রার্থীরা হলনে কৃষ্ণপদ মন্ডল (টউিবওয়লে), দেব্রবত রায় দেবু (চশমা), শিহাবউদ্দীন ফিরোজ বুলু(তালা), সুকৃতি মোহন সরকার (টয়িাপাখী)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা কামাল(ফ্যান), ফাতেমাতুজ জোহরা রুপা(কলস), মাসুমা খাতুন (হাঁস), লিপিকি ঢালী(পদ্মফুল) ও ময়না খাতুন( ফুটবল) প্রতিক নিয়ে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.