Header Ads

মেকাপ ছাড়া এক সুন্দরীর গল্প-শিমলা-মানালি-লাদাখ-স্বপ্নের টয়ট্রেন যাত্রা-আসছে ডিসেম্বরে ভ্রমণ

প্রিয় ভ্রমনপিপাষু বন্ধুরা আপনার ইতোমধ্যে অবগত আছেন যে, ডিপি ট্যুর এন্ড ট্রাভেল আগামী ডিসেম্বরে স্বপ্নের শিমলা-মানালী-লাদাখের বরফ, পাহাড়,সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ শোনাবো টয়ট্রেনের গল্প। কোলকাতা থেকে কালকা নেমে টয়ট্রেনের চেপে শিমলা পৌছাতে হবে। বিকল্প গাড়ীর ব্যবস্থা থাকলেও কেউ ভুল করবেন না টয়ট্রেনের ওঠার। যদি আপনি টয়ট্রেনের কালকা থেকে শিমলা না পৌছান তবে আপনার ভ্রমণ অসমাপ্ত থেকে যাবে। সম্পূর্ণটা ভালো ভাবে পড়ুন। এবার হপ্পে মস্তি। আমরা রেডি, আপনিও রেডি হন, আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।
#স্বপ্নের_টয়_ট্রেনে
স্বপ্নের অনেক দিনের একটি স্বপ্ন ছিল টয় ট্রেনে চেপে, ধীর লয়ে, হেলে-দুলে, গড়িয়ে গড়িয়ে পাহাড়ের পর পাহাড় ডিঙিয়ে অনন্ত সময় ধরে পাহাড়ে পাহাড়ে জড়িয়ে থাকা রঙিন প্রজাপতির মতো ঘরবাড়ির বর্ণিলতা, ঝকঝকে নীল আকাশ দেখতে দেখতে কালকা থেকে শিমলা যাব, তাও মাত্র ২৫ রুপীর বিনিময়ে! #কালকা থেকে শিমলা যেতে বেশ কয়েকটি টয় ট্রেন আছে ভোর থেকে। সময়, আরাম, আপ্যায়ন আর শ্রেণীভেদে নির্ভর করে সেগুলোর ভাড়া। কোনোটা আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ভাড়া পড়বে ৫৮০ রুপী খাবার সহ। আছে ৫০ বা ২৫ রুপী ভাড়ার হিমালয়ান কুইনসহ আরও দুই তিনটি টয় ট্রেন, যা প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কালকা থেকে ছেড়ে যায় সিমলার উদ্দেশ্যে। আর সম্প্রতি যোগ হয়েছে গ্লাস ট্রেন! মানে পুরো ট্রেনটাই প্রায় কাঁচের, এমনকি ছাদ পর্যন্ত! পুরো পথে যেতে যেতে এতটুকু ভিউ বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন কেউ মিস করে না যায়, সেই আয়োজন। এটার ভাড়াও বোধহয় কিছুটা বেশী হবে।

#কালকা থেকে শিমলা যেতে ৯০ কিলোমিটার পথের ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময়ের মাঝে ট্রেন আপনাকে থামাবে, নামাবে, ঘুরে দেখাবে, ছবি তোলার সুযোগ দেবে অনেক অনেক নান্দনিক ছোট ছোট পাহাড়ি স্টেশনে। পাহাড়ের গায়ে গায়ে ঝুলে থাকা অপূর্ব এক একটা স্টেশন! কোনোটা লাল, কোনোটা নীল আবার কোনোটা হলুদ রঙে সেজে হেসে স্বাগতম জানাবে আপনাকে। আপনি নামবেন, হাঁটবেন, একটু গা এলিয়ে দেবেন রঙিন বেঞ্চিতে, বাতাসে গা ভাসাবেন সেসব বৈচিত্রে ভরপুর এক একটা স্টেশনে। কেমন লাগবে বলুন তো! এই সুখ ওখানে গিয়েই একমাত্র নিতে পারবেন।
##কখনো দেখবেন আপনাদের টয় ট্রেন অন্য আর একটা টয় ট্রেনকে সিগনাল দিয়ে যেতে সাহায্য করবে কোনো পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে! কী যে অদ্ভুত আর ঘোর লাগা, মায়াময় সেই দৃশ্য যা আপনি হাজার টাকার বিনিময়েও কখনো কোথাও পাবেন না। যা পাবেন এই ২৫ রুপীর টয় ট্রেনে ৬ ঘণ্টার কালকা থেকে সিমলা যেতে।
মাঝে কোনো এক ঝকঝকে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে আপনাকে চা বা কফি উপভোগের সুযোগ করে দিতে। কখনো ট্রেন দাঁড়াবে অন্য কোনো এক পাহাড়ের কাঁধে আপনাকে হালকা কোনো নাস্তা, ভাজিভুজি বা মুখরোচক কোনো খাবারের সুযোগ করে দিয়ে। কোথাও দাঁড়াবে আপনাকে একটু ঝর্ণার শীতল পানির সুখের পরশ বুলিয়ে দিতে। বোতলে পানি ভরে নিয়ে বাকি সময়ের তৃষ্ণা মেটাতে।
কখনো কোথাও দাঁড়িয়ে থাকবে ওর আলসেমিতে, হয়তো তখনই ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে না তাই! দাঁড়িয়ে গেছে আনমনে! তবে সেটা নিশ্চিতভাবেই কোনো না কোনো পাহাড়ের সারির মাঝে। যেখান থেকে আপনি উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ের পর পাহাড়ের দাঁড়িয়ে থাকা, পাহাড়ের গায়ে গায়ে লেপটে থাকা সাদা মেঘের ভেলা, কোথাও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা নীল-সবুজ পাহাড়ের চূড়া, দূরে কোথাও হয়তো ঝরে পড়া দেখতে পাবেন এক পশলা বৃষ্টির আর অন্য কোনো পাহাড়ে ঝলমলে রোদের রঙিন খেলা!
#একই সাথে পাহাড়ের এত এত বৈচিত্র আর বর্ণিলতা পেতে, গায়ের আর পায়ের পরিশ্রম না করেই ভেসে ভেসে, সিমলা যেতে যেতে, এমনভাবে পাহাড়, প্রকৃতি, অরণ্য উপভোগ একমাত্র টয় ট্রেনেই সম্ভব। কালকা থেকে সিমলা যেতে, তাও মাত্র ২৫ রুপীর বিনিময়ে!
সময় করে, এমন করে এসব উপভোগ করতে চাইলে চলে যেতে পারেন প্রথমে ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে কালকা। আর কালকা থেকে মাত্র ২৫ রুপীর টিকেট কেটে ৬ ঘণ্টার টয় ট্রেনের জার্নি শিমলা পর্যন্ত। যেটা নিশ্চিতভাবেই জীবনের এক অন্য আনন্দ হয়ে রয়ে যাবে স্মৃতির ঝলমলে আকাশে।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.