Header Ads

পাইকগাছায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যকার ভুলবোঝাবুঝির অবসান

পাইকগাছায় আওয়ামী লীগের দলীয় ইউপি সদস্যকে মারপিট করাকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতি ভবনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জড়িয়ে সৃষ্ট উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি ও ভুল বোঝা-বুঝির অবসান হয়েছে। থানা পুলিশ, আইনজীবী ও দলীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেন। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যকে মারপিট মামলার আসামী জামায়াত সমর্থিত কর্মীরা ২ ছাত্রলীগনেতাকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার করার মাধ্যমে তাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পৌর ছাত্রলীগনেতা।
জানাগেছে, লতা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের দলীয় ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ শীলকে গত কয়েকদিন আগে জামায়াত সমর্থিক লোকজন মারপিট করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। এ মামলায় আসামীরা সোমবার আদালতে জামিন নিতে আসে। তারা আদালতে এসেছে এমন খবর জানতে পেরে ইউপি সদস্যকে মারপিট করা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান পারভেজ রনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আদালত সংলগ্ন এলাকায় যায়। আদালতের সামনে রনি দাড়িয়ে থাকে এবং এ সময় জানতে পারে (আসামীরা) তারা আইনজীবী ভবনে এ্যাডঃ বেলাল হোসেনের চেম্বারে রয়েছে। এ সময় রাসেল ও অপর আরেক ছাত্রলীগনেতা তারা আছে কিনা সেখানে দেখতে যায়। ২ ছাত্রলীগনেতা আইনজীবী সমিতি ভবনে প্রবেশ করতেই আসামীরা ওদের উপর উত্তেজিত হয়ে চ্যাচামেচি শুরু করে। তাদের চ্যাচামেচির কারণে ২ ছাত্রলীগনেতা কৃষি অফিস সংলগ্ন সড়ক দিয়ে চলে যাওয়ার সময় কোর্ট পুলিশ সড়ক থেকে ছাত্রলীগনেতা রাসেলকে ধরে নিয়ে কোর্ট হাজতের দিকে নিয়ে যায়।
এ সময় কোর্টের সামনে দাড়িয়ে থাকা ছাত্রলীগনেতা রায়হান পারভেজ রনি এগিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে রাসেলের আটকের বিষয়ে জানতে চাই। এ নিয়ে পুলিশের সাথে রনির বাকবিতন্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ ছাত্রলীগনেতা রনিকে তাদের হেফাজতে নেয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ, আইনজীবী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হয়। পরে মঙ্গলবার থানা পুলিশ, আইনজীবী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে উভয়ের মধ্যকার সৃষ্ট ভুলবোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান করা হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগনেতা রায়হান পারভেজ রনি জানান, আমাদের দলীয় এক ইউপি সদস্যকে মারপিট করার বিষয়ে জানার জন্য এ মামলার আসামীদের সাথে কথা বলার লক্ষে আদালত এলাকায় গিয়েছিলাম। তারা ভুলবুঝে সংগঠনের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে। ওই সময় আইনজীবী ভবন সহ আশপাশ কোথাও কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগও হয়নি। আমি সহ আমাদের সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে জামায়াত সমর্থিত লোকজন মিথ্যা অপপ্রচার দেয়। এ ব্যাপারে থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, থানায় মামলা হওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। উভয়ের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হয় পরে সকলের সমন্বয়ে ভুলবোঝাবুঝির অবসান করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.