Header Ads

ভ্রমণে সাফল্য রাখছে ডিপি গ্রুপ><হিমাচল প্রদেশের কাম ডাউন শুরু

মানুষ মরে যাবার আগে কি ভাবে? অনেকে বলে সে তার পুরো জীবনের স্ন্যাপশট দেখে নিবে। আপনার সারা জীবনের স্ন্যাপশট যদি উল্লেখযোগ্য কোন কীর্তি, কাহিনী, কিংবা অপরুপ সৌন্দর্যের লীলা ভূমিগুলো না থাকে তবেতো আপনার জীবনের স্মৃতিগুলো খেলার মাঠ, কিংবা প্রেমিকার সাথে আড্ডাগুলো ছাড়া বলতে পারবেন না। ভ্রমণে প্রথমে তোমাকে নির্বাক করে দেবে, তারপর তোমাকে গল্প বলতে বাধ্য করবে।

আপনি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন “মন খারাপ থাকলে পাহাড়ের উপর অথবা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়ালে, মন ভালো হয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি উপজেলা পাইকগাছা এ উপজেলায় ছোট্র একটি ভ্রমনকারী গ্রæপ যার নাম ডিপি ট্য্রু এন্ড ট্রাভেল। গ্রæপটির এ্যাকটিভ সদস্যরা বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দনস্থান ইতোমধ্যে ভ্রমণ শেষ করেছে। বিগত কয়েকবছর সেই ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবেশি দেশ ভারতের আকর্ষনীয় ১০টি ভ্রমণের স্থানের মধ্যে ১৫টি প্রদেশের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ শেষ করেছে। ৬ষ্ট বারের মত এবার হিমাচল প্রদেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিপি ট্যুর এর প্রথম বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয় সেই ২০১৫ সালে। সেদিন ৬ জনের ভ্রমণের কথা থাকলেও সবারই কমবেশি কাজ পড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ২ বন্ধু ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলাম।

পার্শ্ববর্তী দেশটি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানাছিল না আমাদের। কোথায় যে ভ্রমণ করবো তাও সঠিক জানতাম না। তবে ৭ম আর্শ্চার্যের তাজমহল দেখার ইচ্ছে ছিল খুব। সিদ্ধান্ত নিলাম আজমীর শরীফ এবং আগ্রার তাজমহল দেখতে যাবো। যাই হোক ট্রেনের টিকেট কাটতে গিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। দালালরা রীতিমত ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত টিকেটের দাম চেয়ে বসলো। দালাল মারফত টিকেট না কেটে, খোজাখুজির এক পর্যায়ে পেয়ে যায় ফেয়ারলি প্লেসের ঠিকানা যেখানে ফরেন কোটায় টিকেট কাটা যায়। কেটে ফেললাম আজমীর শরীফের টিকেট। উঠে বসলাম ট্রেনে ৫৬ ঘন্টার লম্বা জার্নি শেষে। ভোর বেলায় পৌছালাম আজমীর শরীফ, দুই দিন ওখানে থেকে সন্ধায় আগ্রার তাজমহলের উদ্দেশ্যে গাড়ীতে উঠলাম। পরদিন খুব ভোরে নামিয়ে দিলো আগ্রা। আগ্রায় নেমে পরিচয় হলো ইজি বাইক চালক বান্টির সাথে। খুব মজার মানুষ, আমাদের হোটেল পাইয়ে দিয়ে, রীতিমত গাইডের যাবতীয় কাজটি সে একাই সম্পন্ন করলো। তাজমহল দেখানো, মিনা মার্কেট, বিভিন্ন লোকেশনে সে আমাদের ঘুরিয়ে সন্ধ্যায় তাকে কচকচে ১০০০ টাকা ধরিয়ে দিলাম, বান্টি ফুল খুশি, আমরাও খুশি।

যাই হোক সেই ২০১৫ সাল থেকে বিদেশ ভ্রমণের সুচি শুরু হলো। তারপর ২০১৬ সালে কোলকাতার কাছেই দীঘা ঘুরতে যাওয়া, বন্ধু তারেক, ছোট ভাই রাবু, যারা ডিপি গ্রæপের সদস্য। পর পর গোয়া, কর্নাটক, ব্যাঙ্গালুরু , দার্জিলিং, মুম্বাই, জয়পুর, রাজস্থানসহ নান্দনিক ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো ডিপি ট্যুর এর সদস্যরা ভ্রমণ করে ফেলেছে। গ্রæপের সদস্যদের মধ্যে আছে এমএম আহসান আহমেদ, প্রভাষক তারেক আহমেদ, শিক্ষক এবাদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম রাবু, তপন, আশিকসহ আরো কয়েকজন।

৬ষ্ঠ বারের মত নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি হিমাচল প্রদেশে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপি ট্যুর। বরফ আর তুষারপাতের  সাথে মাতলামি, হ্যা বলছি মামা-ভাগ্নের কথা। ভারতের মানুষ শিমলা-মানালীকে মামা ভাগ্নেই বলে। ধারাবাাহিকভাবে গোয়া-মুম্বাই রাজস্থানসহ সকল ভ্রমণের কাহিনী তুলে ধারা হবে। আমাদের সাথেই থাকুন। ডিপি ট্যুর এর সদস্য হউন, আর আসছে ভ্রমণে যোগ দিন।

লেখক, সাংবাদিক, কলামিষ্ট
এন ইসলাম সাগর,
পরিচালক
ডিপি ট্যুর এন্ড ট্রাভেল গ্রæপ

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.