Header Ads

পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী মার্কেটের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভিন্ন দপ্তরে হয়রানী মূলক অভিযোগ

পাইকগাছা প্রতিনিধি :
পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সমিতির ব্যবসায়ীবৃন্দ।
সূত্রমতে, মৎস্য অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার টন মৎস্য উৎপাদন হয়ে থাকে। ফলে উৎপাদিত মৎস্যের ন্যায্য মূল্য ও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৯৯০ সালের দিকে উপজেলা সদরের বর্তমান মাছ বাজারের পাশে মৎস্য আড়ৎ গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে কেনাবেচার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আড়ৎদারী সমবায় সমিতির ব্যবসায়ীরা ২০০০ সালের ১৫ মার্চ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বাতিখালী মৌজায় এসএ ৩৪১, ৩৪২ খতিয়ানে সমিতি ও ব্যবসায়ীদের নামে পৃথক দুটি কোবলা দলিলের মাধ্যমে পৌর সদরের সুকিত, দুলাল, গোপাল, লক্ষণ ও হাজারি বালা গংদের নিকট থেকে দেড় বিঘা জমি ক্রয় করে সেখানে আধুনিক মানের মৎস্য আড়ৎদারী মার্কেট গড়ে তোলেন। মার্কেটটি তৎকালীন সময়ে প্রয়াত মেয়র এসএম মাহবুবুর রহমান উদ্বোধন করেন বলে জানা যায়। সম্পূর্ণ নিজেদের সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা মার্কেটে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। দেশ বিদেশের শত শত ব্যবসায়ী অত্র মার্কেটে মাছ কিনতে আসেন এবং এলাকার উৎপাদিত সকল মৎস্য অত্র মার্কেটে বিক্রি হয়। এ মার্কেটের মাধ্যমে এক দিকে যেমন পৌরসভা বছরে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে, অপরদিকে শত শত মানুষের কর্মস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। মার্কেটটি ক্ষতিগ্রস্থ করতে কতিপয় ব্যক্তি মার্কেটের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভিন্ন দপ্তরে হয়রানী মূলক অভিযোগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মৎস্য আড়ৎদারী সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার সরদার। তিনি বলেন, আমাদের মার্কেটের কোন অবৈধ সম্পত্তি নাই। নিজেদের সম্পত্তির উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সকল নীতিমালা অনুসরণ করে মাছের মান বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। সমিতির বহিষ্কৃত সদস্য বজলুর রহমান ঐতিহ্যবাহী এ মার্কেটটি ক্ষতিগ্রস্থ করতে দীর্ঘদিন নানা অপতৎপরতা, অপপ্রচার ও হয়রানী মূলক অভিযোগ করে প্রশাসন সহ সাধারণ ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে আসছে।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.