Header Ads

পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও জুলিয়া সুকায়নার তদারকিতে দেলুটি’র ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন

এন,ইসলাম সাগর, পাইকগাছা (খুলনা) ঃ
এবার বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির মধ্যে দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকার বাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত মানুষের মাঝে খাবার পৌছে দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মাদ আলী, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধের ক্লান্তিহীন যোদ্ধা ইউএনও জুলিয়া সুকায়না। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও বৃহস্পতিবার সকালে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে খাবার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে বাঁধ নির্মাণকাজ তদারকি করেন এবং নির্মান কাজে নিয়োজিত মানুষের মাঝে খাবার ও খাবার স্যালাইন এবং ঔষধ বিতরণ করেন। দিনভর তদারকি শেষে প্লাবিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর বাঁধ নির্মাণকাজ প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্লাবিত এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার(ভ‚মি) মুহাম্মাদ আরাফাতুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, যুগ্ম সম্পাদক এন ইসলাম সাগর, আওয়ামীলীগ নেতা সুকৃতি মোহন সরকার, যুবলীগ নেতা দ্বিজেন্দ্রনাথ মন্ডল, ইউপি সদস্য প্রীতিলতা ঢালী, চম্পক বিশ্বাস, মঙ্গল মন্ডল, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, মীর ইব্রাহিম খলিল পরান। উল্লেখ্য গত ২০ মে রাতে সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারের কালিনগর এলাকার ৫ শ মিটার বাঁধ ভেঙে ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ২ কিলোমিটার ওয়াপদার ভেড়িবাঁধ। ২০ এবং ২০/১ নং পোল্ডারের প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ উপচে ও ভেঙ্গে মধুখালী, গেওয়াবুনিয়া, চকরিবকরি ও দিঘলিয়া গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়। কৃষি ফসল বিনষ্ট এবং চিংড়ী ঘেরের মৎস্য ভেসে গিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় বাঁধের উঁচু স্থানে। ঝড়ের পরের দিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয় ত্রাণ সামগ্রী। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডলের তত্ত¡াবধানে এলাকার ৫শ থেকে দেড় হাজার মানুষ প্লাবিত হওয়ার দিন থেকে প্রতিদিন গত এক সপ্তাহ বাঁধ নির্মাণকাজ করে আসছে। বাঁধের এ কাজে এলাকার মানুষ একদিকে যেমন স্বেচ্ছশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেছেন তেমনি বাঁশ, নেট, খড়, বস্তা ও খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রথম কয়েকদিন পানির চাপ প্রবল থাকায় ভাটার সময় বাঁধা বাঁধ জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়। অবশেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও প্লাবিত এলাকায় অবস্থান করে বাঁধ নির্মাণকাজ একসপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করেন। এর ফলে পোল্ডার অভ্যন্তরে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব হয়। আগামী দু-একদিনের মধ্যে প্লাবিত এলাকার পানি নিষ্কাসন হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। একই সাথে যতদ্রæত সম্ভব টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসী দাবী জানান। 


কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.