Header Ads

পাইকগাছার কপিলমুনিতে ডাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ’র পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

পাইকগাছা প্রতিনিধি :
বিএমএ’এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ’র পক্ষ থেকে পাইকগাছার কপিলমুনিতে খাদ্য সহায়তা, সাবান ও লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। করোনার থাবায় গোটা বিশ্বে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় এখন লাখ  উনিশ হাজার ছাড়িয়েছে।  কিছুতেই যেন  নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা মৃত্যুর মিছিল।বিভীষিকাময় এমন নিস্তব্দ পৃথিবী কেউ হয়ত কল্পনাও করেনি। গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে নিশ্চিত করোনা রোগীর সংখ্যা ১০১২ আর মারা গেছেন ৪৬ জন। আগামী ২/৩ সপ্তাহে এই রোগীর সংখ্যা বহুগুন বেড়ে যেতে পারে। আমাদের দেশকে করোনায় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সবার আগে দরকার মানুষকে সচেতন করে তোলা। যেহেতু এই রোগের তেমন কোন সুনিদৃষ্ট চিকিৎসা এখন ও পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি  গণসচেতনতাই এই মহামারী থেকে মুক্তি দিতে পারে। আর সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার পাইকগাছা  উপজেলার কপিলমুনি  ইউনিয়নে দরিদ্র জনগনের মাঝে অধ্যাপক ডাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ’র পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা, সাবান ও লিফলেট বিতরন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, যুবলীগ নেতা সাইদ হোসেন।
    অধ্যাপক ডাঃ শহীদ উল্লাহ বলেন করোনা অত্যন্ত ছোয়াচে একটা রোগ, যা আক্রান্ত ব্যাক্তির সর্দি-হাছি বা কাশির সময় ৩ ফুট বা ১ মিটার দুরুত্বের মধ্যে অবস্থাঙ্কারী অন্য যে কোন ব্যাক্তির মধ্যে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাছাড়া আক্তান্ত ব্যাক্তির সর্দি বা কাশি চেয়ার টেবিল, কাপড়-চোপড় বা অন্য যে কোন জিনিষের সাথে এই ভাইরাস লেগে থাকতে পারে এবং তা পরবর্তীতে কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করে ঐ হাত নিজের নাকে বা মুখে লাগালে সেই ব্যাক্তি আক্রান্ত হতে পারে। আর সেই কারণে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চাইলে পারস্পরিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত-নাকমুখ ধোয়া,নিজ বাড়ী অফিস সহ সার্বিক পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। কারো হাতে হাত মেলানো যাবেনা,  কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং জনবহুল এলাকা পরিত্যাগ করতে হবে এনং করোনা সন্দেহ জনক ব্যাক্তি থেকে অন্তত ১ মিটার দূরে অবস্থান করতে হবে এবং প্রয়োজনে মুখে মাস্ক পরতে হবে। তিনি আরও বলেন এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর খুব বেশী না হলেও যাদের মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনীরোগ বা অন্য কোন জটিল অসুখ থাকলে তারা এই রোগে আক্রান্ত হলে সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় তাদেরকে আর ও বেশী সতর্ক থাকতে হবে। এসময় কারো সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাস কষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনা পরীক্ষা করা দরকার।   ঢাকা, খুলনাসহ দেশের প্রায় ২০টির ও অধিক স্থানে  এখন করোনা পরীক্ষা হচ্ছে , তাছাড়া প্রতিটা জেলায় এখন এই রোগের চিকিৎসার জন্য সরকার যাবতীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছেন সুতারাং আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়া সবচেয়ে জরুরী।

কোন মন্তব্য নেই

Maliketh থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.